মূখ্য নির্বাহী নির্বাচন এবং বর্তমান আইন প্রসঙ্গে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমাখাতে দক্ষ জনবলের অভাব সর্বজন স্বীকৃত। বিভিন্ন সময় সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সরকারি অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। অথচ ব্যাপারটি বীমা কর্তৃপক্ষ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে না বলে সংশ্লিষ্ট সকলের অভিযোগ।
বর্তমান আইন মূখ্য নির্বাহী নির্বাচনের ব্যাপারে যে মোটেই ফলপ্রসূ বা সহায়ক নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিককালে এই পত্রিকায় একাধিকবার লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বীমা কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে কোন আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যায়নি।
এখন বর্তমানে মূখ্য নির্বাহী নির্বাচনের প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে আলোকপাত করা যাক।
বর্তমান আইন অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কমপক্ষে চার বছর উচ্চ শিক্ষা যেমন স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রিসহ মাস্টার্স ডিগ্রি আবশ্যক। সেই সাথে আরও একটি শর্ত সংযুক্ত করা হয়েছে। আর সেটি হচ্ছে উভয় ক্ষেত্রেই কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণী (Second Class) অর্জন।
জানা মতে এই আইন কড়াকড়ি প্রয়োগের পরিবর্তে এর সাথে আপোষ করে অনেক ক্ষেত্রেই মূখ্য নির্বাহী নির্বাচনে ছাড় দেয়া হচ্ছে, যা আইনের পরিপন্থী। অথচ মূখ্য নির্বাহীর অব্যবহিত পূর্বপদে ন্যূনতম তিন বছরের অভিজ্ঞতার প্রশ্নে বীমা কর্তৃপক্ষ যত্নবান বলে মনে হয়।
তাহলে স্বভাবতই যে প্রশ্নটি সামনে উঠে আসে তা হচ্ছে কার স্বার্থে এমনটি করা হচ্ছে!
বীমা শিল্পে কর্মরত এমন অনেকেই রয়েছেন যারা উপরে বর্ণিত শিক্ষাগত যোগ্যতা পূরণের পাশাপাশি বীমা বিষয়ে ডিপ্লোমা বা বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং দশ বছরের অধিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ম্যানেজার বা ডিপার্টমেন্টাল হেড বা সমানের পদে অধিষ্ঠিত আছেন।
মূখ্য নির্বাহী পদে প্রার্থী হিসেবে এই সমস্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার প্রদানের ব্যাপারে বীমা কর্তৃপক্ষের বিশেষ বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বীমা বিশেষজ্ঞরা।
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বীমা শিল্পের প্রয়োজন বা স্বার্থে বর্তমান অসন্তোষজনক এবং অবাঞ্চিত অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দক্ষ জনবলেন কোন বিকল্প পথ বা সমাধান নেই।
লেখক: জেনারেল সেক্রেটারি, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স প্রফেশনালস সোসাইটি (বিআইপিএস) ।