বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে চরম অবহেলা ও ব্যর্থতা প্রসঙ্গে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন ২০১০ এর মাধ্যমে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র জন্ম। প্রতিষ্ঠানটি সৃষ্টির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল বীমা গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা, বীমাখাতের সার্বিক উন্নয়ন এবং বিরাজমান সকল প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি দমন বা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে প্রায় এক দশক অতিবাহিত হওয়ার পরও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ তাদের উপর ন্যাস্ত গুরুদায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই তাদের দায়িত্ব অস্বীকার বা এড়াতে পারে না।
বীমা আইনের প্রতি কোম্পানিগুলো অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করে একের পর এক আইন ভঙ্গ করে চলেছে এবং সেই সাথে নানা প্রকার দুর্নীতিতে লিপ্ত। কিন্তু এতদ সত্বেও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত এবং রহস্যজনক কারণে এই সমস্ত বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে পিছপা হচ্ছে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কোন এক অদৃশ্য শক্তির কাছে জিম্মি এবং এক স্বার্থান্বেষী মহল (যারা সত্যিকার অর্থে বীমাখাতের মঙ্গল কামনা করে না বা চায় না) কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এবং তাদের ইশারায় পরিচালিত।
পর্যবেক্ষকদের ধারনা দুর্নীতি দমন করতে গিয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দুর্নীতির জালে গভীরভাবে জড়িয়ে পরেছে।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা প্রকার অনিয়ম এবং দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ রয়েছে যার নিরসন এবং প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন।
আর অন্য পাঁচটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতো বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষও তাদের কাজের জন্য বীমাগ্রহীতা সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে দায়ি এবং জবাবদিহি। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে মনে করার কোন কারন নাই।
আশা করি এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সুক্ষ্মভাবে তদন্ত করে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বীমাখাতের সম্মান এবং ভাবমূর্তি রক্ষায় এগিয়ে আসবে।