বঙ্গবন্ধুর হাতেই দেশের বীমা খাত উন্নয়নের যাত্রা শুরু

এ কে এম মনিরুল হক: একটি দেশের বীমা খাত যতো শক্তিশালী সে দেশের অর্থনীতি ততো শক্তিশালী –এটা প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাই তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বীমা খাতের উন্নয়নে সংস্কারে আর সুশাসনে হাত দেন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীমা খাতের অবদান রয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা পেশার আড়ালে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজ করে গেছেন। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুই প্রথম বীমা খাতের সংস্কারে হাত দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বীমা খাতের উন্নয়নে যুগান্তকারি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বীমা খাতের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বর্তমান সরকার বীমা আইন পাস করেছে, বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করেছে। এছাড়াও বীমা খাতের উন্নয়নে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশ গঠনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যান্য কর্মকাণ্ডের সাথে সাথে বীমা খাতের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন! তিনি বীমা পেশার মাধ্যমে তার সংগ্রামী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তাই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীমা খাতের বিশেষ অবদান রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু প্রথম উপলব্ধি করেন, দেশের উন্নয়ন করতে হলে বীমার উন্নয়ন করতে হবে। তাই তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জীবন বীমা করপোরেশন ও সাধারণ বীমা করপোরেশন নামে সরকারি ২টি প্রতিষ্ঠান করেন।

যে ঐতিহাসিক মাসে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছে। সেই মাসের ১ম দিনটি আমরা বীমা দিবস হিসেবে পেয়েছি। এটা আমাদের বীমা খাতের সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য গর্বের। কেননা এই দিনে তিনি রাজনীতির পাশাপাশি বীমা শিল্পে পেশাজীবনে জড়িত হয়েছিলেন। সুতরাং সংশ্লিষ্টরা বীমা খাতের সুশাসনের জন্য এই বিশাল ইমোশন বা সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে সামনে এগুতে পারে সহজেই।

জাতির শোকের মাস আগস্ট মাস। এই মাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহদাতের মাস। জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে দুঃখভরা মন নিয়ে স্মরণ করছে এই মাসটি, যে মাসে ঘাতকের বুলেটে জাতি হারিয়েছিল তার জাতির পিতাকে, হারিয়ে ছিল জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের যাদের প্রত্যেকের অবদান অনস্বীকার্য এই দেশটির স্বাধীনতা আর মুক্তি সংগ্রামের জন্য। 

তবে শোককে শক্তিতে পরিণত করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে সম্মুখপানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে। এই হোক আজকের দিনে আমাদের বাঙ্গালী জাতির অঙ্গীকার। তবেই কিছুটা হলেও শোধ হবে বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ। 

১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহর কাছে তাদের বেহেশত নসীবের আরজি করছি আমরা নিটল পরিবার। আমীন।  

লেখক: চেয়ারম্যান, নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।