ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের হলফনামা প্রসঙ্গে

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: গত ৯ আগস্ট এই পত্রিকায় প্রকাশিত ‘এখন থেকে ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সে এ ধরনের অনিয়ম সংগঠিত করা হবে না’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে বর্ণিত বীমা কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বীমা কর্তৃপক্ষের তদন্তে বীমা আইন লঙ্ঘন, অনিয়ম এবং জালিয়াতির সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ’র) সৃষ্টি মূলত গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা, বীমা আইনের সুষ্ঠ প্রয়োগ এবং বীমাখাতে অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে।

মুচলেকার মত অভিনব কৌশলের আশ্রয় নিয়ে দুর্নীতিপরায়ন মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে ক্ষমা করার আইনগত কোন সুযোগ বা বৈধতা নাই।

এ ব্যাপারে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা, ২০১২ (ধারা ৫ ও৭) এর উল্লেখ করা যেতে পারে।

অথচ বীমা কর্তৃপক্ষ নিজেরাই বিভিন্ন সময়ে বীমা খাতে অনিয়ম এবং দুর্নীতিকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করে চলেছে যা তাদের উপর ন্যাস্ত, দয়িত্ব লঙ্ঘনের সামিল এবং সম্পূর্ণভাবে বীমা আইন এবং গ্রাহক স্বার্থের পরিপন্থী।

আশা করি বীমা গ্রাহকের সার্বিক স্বার্থ রক্ষার্থে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটি বিশেষ গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখবে এবং উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।