বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতা প্রসঙ্গে

একেএম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমা খাতকে সঠিক এবং সুস্থ পথে পরিচালনা করার জন্য ২০১১ সালে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র সৃষ্টি।

সুদীর্ঘ এক দশক অতিক্রান্ত হওয়ার পরও বীমা কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব কতটুকু সুচারুরূপে সম্পাদন করতে পেরেছে তা পর্যালোচনা করে দেখা প্রয়োজন।

জন্মলগ্ন থেকেই বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দক্ষ জনবলের যথেষ্ট অভাব ছিল এবং আজও রয়েছে। এখানে দক্ষ জনবল বলতে বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ জনশক্তিকে বুঝানো হয়েছে।

প্রথম থেকেই আইডিআরএ পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত উচ্চপদস্থ কর্মচারী থেকে শুরু করে অধিকাংশ কর্মচারী তাদের পেশাদারী শিক্ষার অভাব এবং অনভিজ্ঞতার কারণে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।

বীমা ব্যবসা আর দশটি সাধারণ ব্যবসার পর্যায়ে পড়ে না। এই ব্যবসা সঠিক এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবলের কোন বিকল্প নাই।

বীমা বিষয়ে অভিজ্ঞ ও পেশাদারী দক্ষ জনবলের হাতে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার ভার তুলে দিতে হবে। তা না হলে যে যত কথাই বলুক না কেন বীমা খাতের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

সঠিক এবং দক্ষ জনবলের অভাবে বীমা খাত নানা প্রকার সমস্যায় ভুগছে বলে বীমা বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

পাশের দেশ ভারত এবং অন্যান্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে বাংলাদেশের বীমা খাতের তুলনায় তাদের কৃতকার্যতা এবং সাফল্যের হার অনেক বেশি।

প্রয়োজনে এ ব্যাপারে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ তাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারে। এতে লজ্জার বা অসম্মানের কিছু নাই।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের তাদের কাজের জন্য যেমন দায়বদ্ধতা রয়েছে তেমনি জবাবদিহিতাও রয়েছে।

দুঃখজনক হলেও একথা সত্য যে, সার্ক দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে বীমা খাত সব দিক থেকে পিছনে পড়ে আছে। যা কোনভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়।