বীমা খাতের সার্বিক উন্নয়নে বিআইএ’র গঠনমূলক ভূমিকা প্রসঙ্গে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমা মালিকদের সংগঠন (বিআইএ)’র বীমা খাতের সার্বিক উন্নয়নে গঠনমূলক অনেক কিছু করার আছে।
অন্যান্য ব্যবসার মতো বীমা কোম্পানির মালিকগণ এই ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ করেছে মুনাফা অর্জনের আশায়। কিন্তু অন্যান্য ব্যবসার সাথে বীমা ব্যবসার একটি প্রধান পার্থক্য হচ্ছে এই যে, বীমার জন্ম মূলত বীমা গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা এবং সেবা নিশ্চিত করা।
এখন দেখা যাক গ্রহকের স্বার্থ রক্ষা এবং গ্রাহক সেবা বলতে কি বুঝায়।
এ ব্যাপারে প্রথমেই যে বিষয়টি উঠে আসে সেটি হচ্ছে বীমা আইন, ২০১০ এ বেঁধে দেয়া নির্দিষ্ট সময়ে অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যে প্রকৃত দাবি নিষ্পত্তি বা পরিশোধ করা। কিন্তু বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রেই এই আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অনেক বীমা কোম্পানি আইন ভঙ্গ করে চলেছে। ফলে বীমা গ্রহক বীমার সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যা সম্পূর্ণভাবে বীমা নীতির পরিপন্থী। বীমা কোম্পানির এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ দেশের প্রচলিত আইনে অপরাধের শামিল, বীমা আইনে তো বটেই।
বীমা কোম্পানির বেআইনি এবং অসৎ কার্যকলাপের মধ্যে আরও রয়েছে লাইফ ফান্ডের মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ, সময়মতো দাবি নিষ্পত্তি না করা, ভুয়া বা জাল সার্টিফিকেট দাখিল করে বীমা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ অনুমোদন ইত্যাদি।
এই সমস্ত অভিযোগ কেবল মাত্র অভিযোগ আকারেই সীমাবদ্ধ নয়। বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা, প্রিন্ট মিডিয়া এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় এই সমস্ত অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ে ইদানীংকালে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ) বীমা আইন ভঙ্গকারী এবং দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সদস্য কোম্পানির বিরুদ্ধে বীমা আইন লঙ্ঘন এবং দুর্নীতির দায়ে কোন ধরনের শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যেমন মেম্বারশিপ থেকে বহিষ্কার ইত্যাদি।
তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, যারা বীমা খাতের অভিভাবক তারা যদি তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে কিভাবে বীমা খাতে আইন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব, আর কিভাবেইবা বীমা খাতের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব!