বীমা কোম্পানি যেভাবে বীমা আইন লঙ্ঘন করে চলছে

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমা আইন এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) প্রবর্তন বা সূচনা হয়েছে যথাক্রমে ২০১০ এবং ২০১১ সালে। এই দুইটি সৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বীমা খাতে বিরাজমান অনিয়ম এবং দুর্নীতি প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করা।

সুদীর্ঘ এক দশক পর বীমা আইন ২০১০ এর আলোকে বীমা খাতে কতটা পরিবর্তন এসেছে তা খতিয়ে দেখা দরকার।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) দুর্বলতা, অপেশাজীবী মনোভাব এবং কর্মদক্ষতার অভাবে অনেক বীমা কোম্পানি তার সুযোগ নিচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত বীমা আইন লঙ্ঘন করে চলেছে।

তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে বীমা কোম্পানি বীমা আইন ভঙ্গ করার সাহস বা স্পর্ধা পায় কোথা থেকে এবং বীমা আইনের প্রয়োজনীয়তা কোথায়? উত্তর একটাই, সেটা হচ্ছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সার্বিক ব্যবস্থ্যপনার দুর্বলতা এবং দায়িত্বে চরম অবহেলা।

এখন দেখা যাক বীমা কোম্পানি কিভাবে বীমা আইন লঙ্গন করে চলেছে-

১) বাকিতে ব্যবসা করা, ২) বীমা আইনের নির্ধারীত সীমার মধ্যে দাবি পরিশোধ না করা, ৩) নানান প্রকার দুর্নীতির মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ, ৪) নির্ধারীত কমিশনের চেয়ে অতিরিক্ত কমিশন প্রদান, ৫) মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা অনেকের ভূয়া বা জাল সনদ পত্র থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ প্রদাণ ও ৬) বিভিন্ন অনিয়মের সাথে সম্পৃত্ত ইত্যাদি।

বীমা আইন ভঙ্গ বা লঙ্ঘন করা শাস্তিজনক অপরাধ। আশা করি বীমা কোম্পানি বীমা খাতের এবং গ্রাহকের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে উপরে বর্ণিত অনিয়ম এবং দুর্নীতি থেকে বিরত থাকবে।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে বীমা আইন বাস্তবায়ন করা এবং বীমা আইন ভঙ্গ কারী বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।