বাংলাদেশে ব্যাংকাস্যুরেন্সের হাওয়া বইতে শুরু করেছে!
শিপন ভূঁইয়া: হিমেল হাওয়া ও কুয়াশা যেমন শীতের বার্তা বয়ে আনে এবং প্রকৃতিও শীতের আমেজ উপভোগ করতে শুরু করে। তেমনি বাংলাদেশে ব্যাংকাস্যুরেন্সের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। অচিরেই ব্যাংক ও বীমা সেক্টর এর সুফল ভোগ করবে। অনাস্থার বীমা সেক্টরে আস্থার বাতাস বইবে।
গত মঙ্গলবার ১৮ জুলাই ২০২৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) দেশে ব্যাংকাসুরেন্স বিষয়টি ব্যাংক শাখার মাধ্যমে বীমা পণ্য বিক্রি করার পরিকল্পনাটি অনুমোদন করেছে।
বাংলাদেশে তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বীমা পণ্যসমূহ বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে তফসিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য ব্যাংক কর্তৃক প্রণীত ব্যাংকাস্যুরেন্স গাইডলাইন এবং বীমা কোম্পানিগুলোর জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত করপোরেট এজেন্ট (ব্যাংকাস্যুরেন্স) নির্দেশিকা এই দুটি বিষয়ে সরকারের সম্মতি প্রদান করেন।
ফলে বাংলাদেশে বীমা শিল্পে ব্যাংকাস্যুরেন্সের শীতল হাওয়া বইতে শুরু করলো।
ফাইনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন ডিভিশন (এফআইডি) বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বীমা পণ্যসমূহ বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে তফসিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বীমা কোম্পানির করপোরেট এজেন্ট হিসেবে বীমাপণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রয়োজনীয় গেজেট নোটিফিকেশন জারিকরণের নির্দেশ দিয়েছে।
খসড়া অনুযায়ী একটি বীমা কোম্পানি তিনটি ব্যাংকের সাথে চুক্তি করতে পারবে এবং একটি ব্যাংক তিনটি বীমা কোম্পানির পণ্য বিক্রয় করতে পারবে।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ২০২২ সালে বীমা কোম্পানিগুলোর শাখা কার্যালয়ের সংখ্যা ৭ হাজার ৮৭৩টি। মোট বীমা এজেন্ট সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার।
ব্যাংকাস্যুরেন্স নিয়ে সঠিক তথ্যের অভাবে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মাঝে কর্মের অনিশ্চয়তা ও হতাশা দেখা দিয়েছে। ব্যাংকাস্যুরেন্সের আগমনে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কোনভাবেই অবহেলা করা যাবে না। ব্যাংকের সাথে চলমান এজেন্টদের নিয়েই ব্যাংকাস্যুরেন্সের যাত্রা আমাদের কাম্য।
ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু হলে এজেন্টদের সঠিক অবস্থান এবং এজেন্টদের সুযোগ সুবিধা কি ধরনের থাকবে তা ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু হওয়ার পূর্বেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি পরিস্কার করা জরুরি।