বীমা খাতের সংস্কার- কর্তৃপক্ষের ঘুম কবে ভাঙবে

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: দেশে অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে বীমার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে বীমার কি কোন সম্পর্ক আছে? অবশ্যই আছে। এ কথা না বোঝার কোন কারন নাই।

অথচ বীমার মতো একটি গুরুত্বপূর্ন আর্থিক খাত দিনের পর দিন বছরের পর বছর অবহেলিত হয়ে আসছে।

বীমা কি শুধুই ব্যবসা? বীমার প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে বীমা গ্রাহকের স্বার্থ তথা আর্থিক নিরাপত্তা রক্ষা করা।

বীমা খাতের বর্তমান নৈরাজ্যজনক অবস্থায় সেই উদ্দেশ্য ক্রমাগতভাবে পরাজিত বা ব্যাহত হচ্ছে। দুঃখজনকভাবে এর প্রতিকার তেমন কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষ ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েই যাচ্ছে।

যাদের উপর বীমা খাতের উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রনের গুরু দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা কি তাদের দায়িত্ব সঠিক বা যথাযথভাবে পালন করছে? জবাব হচ্ছে না।

সরকার কি এ ব্যাপারে সচেতন? যদি সচেতন হয় তবে অবস্থার কোন দৃশ্যমান উন্নতি হচ্ছে না কেন?

সাধারন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারন কাজ সম্পাদন সম্ভব হতে পারে। কিন্তু সংস্কারের জন্য প্রয়োজন বিশেষ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া বা যাত্রা করা। এবং সেই সাথে দৃড় রাজনৈতিক ইচ্ছা।

দির্ঘদিন ধরে এই পত্রিকার মাধ্যমে বীমা খাতের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন বেড়িয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে নড়েচড়ে বসতে দেখা যাচ্ছে না।

হয় কর্তৃপক্ষ সমস্যগুলো ভালো বোঝে না কিংবা বোঝার চেষ্টা করে না। এই হচ্ছে বীমা খাতের বর্তমান চিত্র।

এইভাবে বীমা খাত চলতে পারে না। যতো দ্রুত সম্ভব বীমা খাতের সংস্কার করতে হবে। এর কোন বিকল্প নাই।

এ ব্যাপারে বীমা কর্তৃপক্ষের চৈতন্যদয় কবে ঘটবে? এ প্রশ্ন বীমা খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের। আর এ প্রশ্নের জবাব কেবল কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবে।