থাইল্যান্ডে মোটর বীমার কভারেজ সীমা বাড়াল নিয়ন্ত্রক সংস্থা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: থাইল্যান্ডের বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা 'অফিস অব ইন্স্যুরেন্স কমিশন (ওআইসি)' বাধ্যতামূলক ও স্বেচ্ছায় মোটর বীমার কভারেজ সীমা বড় পরিসরে বাড়িয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ ২০ মিলিয়ন বাথ (প্রায় ৬.২০ লাখ মার্কিন ডলার) পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগীদের যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হলেও প্রিমিয়ামের কোনো বৃদ্ধি হবে না।

ওআইসি'র রেজিস্ট্রারের আদেশ নং ৫১/২৫৬৮ অনুসারে, বাধ্যতামূলক মোটর বীমা আইনে এখন থেকে সব ধরনের গাড়ির জন্য প্রতি দুর্ঘটনায় কভারেজ সীমা সর্বোচ্চ ২০ মিলিয়ন বাথ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে অর্থাৎ চলমান সব পলিসি ও নতুন চুক্তি উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে বীমা কোম্পানিগুলোকে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন পলিসি ফর্ম ও শর্তাবলি হালনাগাদ করতে হবে।

এছাড়া স্বেচ্ছায় মোটর বীমার ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষ দায়বদ্ধতা বিভাগে মৃত্যু বা স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতার ক্ষতিপূরণের সীমা ন্যূনতম ২০ মিলিয়ন বাথ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি কার্যকর হবে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ইস্যুকৃত নতুন পলিসির ক্ষেত্রে। একই নিয়ম বৈদ্যুতিক গাড়ির বীমার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

এর আগে ২০২০ সালে ওআইসি বাধ্যতামূলক মোটর বীমায় ব্যক্তি প্রতি ক্ষতিপূরণের সীমা ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ বাথ করেছিল। তবে তখন প্রতি দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ সীমা ছিল যাত্রীবাহী সাত আসনের কম গাড়ির ক্ষেত্রে ৫ মিলিয়ন এবং সাত আসনের বেশি গাড়ির ক্ষেত্রে ১০ মিলিয়ন বাথ। অন্যদিকে স্বেচ্ছা মোটর বীমার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ পলিসিতে কভারেজ সীমা ছিল সর্বোচ্চ ১০ মিলিয়ন বাথ। ফলে বড় দুর্ঘটনায় একাধিক ভুক্তভোগীর জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হতো না।

ওআইসি’র সহকারী মহাসচিব (বীমা পণ্য তদারকি) পাইবুন পিয়ামমেত্তা বলেন, ‘নতুন করা এই আদেশ বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এতে প্রিমিয়াম না বাড়িয়েই কভারেজ সীমা বাড়ানো হয়েছে।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ থাইল্যান্ডের সড়ক নিরাপত্তা ও ভোক্তা সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। একদিকে ভুক্তভোগীরা বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন, অন্যদিকে পলিসিহোল্ডারদের ওপর কোনো বাড়তি আর্থিক চাপ তৈরি হবে না। ফলে এটি বীমা খাত ও সমাজ উভয়ের জন্যই একটি ইতিবাচক ও প্রয়োজনীয় সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সংবাদ সূত্র: এশিয়া ইন্স্যুরেন্স রিভিউ