উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত পাইলটের পরিবার পাবে ১২ লাখ টাকার বীমা দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অন্তত ১৬৪ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমানটি সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে এবং পরে বিধ্বস্ত হয় বলে জানিয়েছে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ।
এই দুর্ঘটনায় প্রশিক্ষণ বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম মারা গেছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানটির নিহত পাইল ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বীমা পলিসির আওতায় ছিলেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সাধারণ বীমা করপোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার (পুনর্বীমা বিভাগ) এস এম শাহ আলম।
ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’কে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ বিমানের কোন বীমা কাভারেজ নেই; থাকেও না। তবে সব বাহিনীর সদস্যদের পৃথক ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বীমা পলিসির কাভারেজ আছে।
সাধারণ বীমা করপোরেশনের সাথে করা এমন-ই একটা বীমা পলিসির আওতায় ক্ষতিপূরণ পাবেন নিহত পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামের পরিবার। এই বীমা দাবির পরিমাণ ১২ লাখ টাকা বলে জানান এস এম শাহ আলম।
এই বিমান দুর্ঘটনায় হতাহত অন্য ব্যক্তিরা বীমা দাবি পাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণ বীমা করপোরেশনের সাথে এমন কোন পলিসি নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে বেসরকারি কোন বীমা কোম্পানির পলিসির আওতায় থাকলে সেটা তারা পাবেন।
উল্লেখ্য, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি আজ সোমবার বেলা ১টা ১৮ মিনিটে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উত্তরা শাখার দোতলা স্কুল ভবনে বিধ্বস্ত হয়।
স্কুলের দোতলা ভবনটির প্রথম তলায় ছিল তৃতীয় শ্রেণী ও চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাস। দ্বিতীয় তলায় ছিল দ্বিতীয় শ্রেণী ও পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাস। তার সাথে ছিল অধ্যক্ষের অফিস মিটিং রুম। একটা কোচিংয়ের ক্লাস চলমান ছিল।