বার্ষিক সম্মেলনে কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান

প্রযুক্তি, গ্রাহক আস্থা ও সেবার উৎকর্ষে টেকসই ভিত্তি গড়ছে জেনিথ ইসলামী লাইফ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি একটি সম্পূর্ণ অনলাইন-ভিত্তিক আধুনিক লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রযুক্তি, গ্রাহক আস্থা ও সেবার উৎকর্ষের মাধ্যমে টেকসই ভিত্তি গড়ে তুলছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) কক্সবাজারের হোটেল সী প্যালেসে অনুষ্ঠিত কোম্পানির বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ।

গ্রাহকদের জন্য চালু করা ডিজিটাল সেবাগুলোর কথা উল্লেখ করে এস এম নুরুজ্জামান বলেন, আমরা ইআরপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করছি। কল সেন্টার, ই-রিসিপ্ট, ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা আরও গতিশীল হয়েছে।

তিনি বলেন, কোম্পানি বর্তমানে ইমেইল, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমু ও ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে দাবি আবেদন গ্রহণ করে থাকে। দেশের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে করপোরেট চুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা অনলাইনে পরিচালিত হচ্ছে।

জেনিথ ইসলামী লাইফ বর্তমানে ২২টি ব্যাংকের সঙ্গে অনলাইন সংযোগে প্রিমিয়াম পরিশোধের সুযোগ দিয়েছে। এছাড়া রয়েছে কো-ব্র্যান্ডেড ব্যাংক স্লিপ, ভিসা কার্ড, এবং বাংলা ভাষায় মোবাইল অ্যাপস, যার মাধ্যমে গ্রাহকরা বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সহজেই প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারেন।

সভাপতির বক্তব্যে এস এম নুরুজ্জামান জানান, গত বছরের তুলনায় কোম্পানির প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম বেড়েছে ৭১.৮১%, নবায়ন প্রিমিয়াম বেড়েছে ১১.৫০%, এবং গ্রুপ বীমা প্রিমিয়াম বেড়েছে ২৪%। বর্তমানে কোম্পানির সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি।

তিনি আরও বলেন, ২০২৫ সালের দাবি নিষ্পত্তির হার দাঁড়িয়েছে ৯৭.২৩%, যা আমাদের গ্রাহকসেবার প্রতি অঙ্গীকারের প্রমাণ। দেশের ১২৬টির বেশি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ৪০% পর্যন্ত ছাড় সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

উন্নয়ন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রতিদিন একটি নতুন পলিসি বিক্রি, একটি নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ, একটি নতুন এফএ নিয়োগ এবং সাপ্তাহিক মিটিংয়ে অংশগ্রহণ—এই চারটি অভ্যাসই সফলতার চাবিকাঠি। জেনিথ ইসলামী লাইফকে চতুর্থ প্রজন্মের কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এস এম নুরুজ্জামান।