সোনালী লাইফের ব্যবসা সম্মেলনে দ্বিগুণ সাফল্যের অঙ্গীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরে প্রিমিয়াম আয়ে দ্বিগুণ সাফল্য অর্জনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মাঠকর্মী এবং উন্নয়ন কর্মকর্তারা। শনিবার (৮ নভেম্বর) চট্রগ্রামের ফয়েজ লেকে আয়োজিত ‘টিম এনরিচমেন্ড এন্ড বিজনেস কনফারেন্স’-এ এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কোম্পানির পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েল, ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এবং কোম্পানির চীফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ।
শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েল বলেন, সোনালী লাইফের সিংহভাগ ব্যবসায়ী এই চট্টগ্রাম থেকে আসে। আমরা মেটলাইফ ও ন্যাশনাল লাইফের মত কোম্পানির কাতারেই চলে আসব খুব শিগগিরই। তৃতীয় কোম্পানি হিসেবে আমরা এক হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করতে চাই। গ্রাহক সেবায় আমরাই সেরা হতে চাই।
তিনি বলেন, শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সোনালী লাইফ আজকে নিজের ভালো অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। সামনের দিকে আরো ভালো কিছু করবে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্লেইম সেটেলমেন্টের দিক থেকেও আমরা সেরা হয়েছি। আমরা গ্রাহক সেবায় আস্থা ধরে রাখতে পেরেছি।
সোনালী লাইফের এত এত কর্মী আমরা ১০০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ছাড়বো। নভেম্বর আর ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা ব্যবসা করতে হবে আমাদের। তাহলে এক হাজার কোটি টাকার মাইলফলক ছুঁতে পারব।
এ সময় ড্যানিয়েল চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, ইউনিট ম্যানেজার ও ফিনান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েটদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই দুই মাসে চট্টগ্রাম থেকেই দেড়শ কোটি টাকার ব্যবসা করতে হবে। এ সময় তিনি এই টার্গেট অ্যাচিভমেন্টের জন্য উপস্থিত সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন।
ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া বলেন, সোনালী বেস্ট টিম নিয়ে কাজ করছে। সোনালী আমাদেরকে দিয়েছে আস্থা। সোনালীর ক্ষতি করতে চাইলেও কেউ করতে পারবে না। কারণ সোনালীর ইনফ্রাস্ট্রাকচার যেভাবে তৈরি করা, ম্যানেজমেন্ট বোর্ড যেভাবে বানানো, এতে কোন কর্মী-গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
তিনি আরো বলেন আমরা আমাদের কমিটমেন্ট রেখে কাজ করছি। ৯৮ পারসেন্ট ক্লেইম সেটেলমেন্ট আমরা সোনালী লাইফে করছি। আমরা খুব সাধারণভাবে কাজ করি, সাতদিনের মধ্যে ক্লেইম সেটেল করি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে কাস্টমার সার্ভিস দেই। আমরা কমিটেড।
এ সময় তিনি উপস্থিত সবাইকে সুসংগঠিত টিম নিয়ে কাজ করতে উৎসাহিত করেন। সোনালী লাইফ একদিন পূর্ণাঙ্গ শরীয়াভিত্তিকভাবে পরিচালিত হবে। আমরা অলরেডি কাজ শুরু করে দিয়েছি বলে তিনি জানান।
রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যে কমিটমেন্ট নিয়ে ইন্স্যুরেন্স মার্কেটে এসেছিলাম; সেইটা রক্ষা করতে পারছি, যা ভালো লাগার বিষয়। সোনালীর সকল কর্মীর কথাই ভাবে। যে যার যোগ্যতা প্রমাণ করে এখানে যোগ্যকর্মী স্বাক্ষর রাখতে পারে। আর এই সুযোগ আপনাদের সকলের জন্য উন্মুক্ত।
তিনি আরো বলেন, আমরা সোনালীর যোগ্য লিডার তৈরি করব। একে অপরকে কো-অপারেট করব। ব্যবসা প্রসারিত করার জন্য আমাদের সহযোগিতামূলক মনোভাব খুব দরকার। এরকম মন মানসিকতা আমাদের সকলেরই থাকতে হবে। এ সময় তিনি ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, ইউনিট ম্যানেজার ও ফিনান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েটদের টিম তৈরি করার জন্য আহবান করেন।
তিনি বীমা বিষয়ে সচেতনতামূলক সেমিনার ওয়ার্কশপ আয়োজন করার ওপর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, ইউনিট ম্যানেজার ও ফিনান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েটদের উদ্বুদ্ধ করেন।
মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, সোনালী লাইফে নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে সবাই বিনিয়োগ করবে, কোন শঙ্কা ছাড়াই। আর সেটি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে সোনালী লাইফ। আমাদের সততা, পরিশ্রম -এগুলোই আমাদের গ্রাহক আস্থার জায়গা। তিনি বলেন, আমরা ব্যবসা করি কমিটমেন্টের মাধ্যমে। আমরা পণ্য বিক্রি করি না, আমরা প্রতিশ্রুতি বিক্রি করি।
তিনি আরো বলেন, আমরা এখন ট্রেজারি বন্ডে সর্বোচ্চ ৩০% পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারি। আমরা সুকুক বন্ডে বিনিয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে। অলরেডি আইডিআরএ কর্তৃক নির্ধারিত আইন অনুসারে এফডিআর ও বিনিয়োগ করতে পেরেছে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, গ্রাহকের প্রিমিয়াম আমাদের একটা দায়। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স সেই দায়টা মাথায় রেখে গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা করে। তিনি আরো জানান, রিনিউয়াল পার্সেন্টেজ এর ক্ষেত্রেও আমরা এখন নাম্বার ওয়ান।
এ সময় তিনি ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ইউনিট ম্যানেজার এবং ফিনান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েটদের অনুরোধ করে বলেন, গ্রাহকদের তারা যেন ভুল পলিসি বিক্রি না করেন কিংবা ভুল তথ্য সরবরাহ না করে থাকেন।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে সফল ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ইউনিট ম্যানেজার এবং ফিনান্সিয়াল অ্যাসেসমেন্ট এর হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেয়া হয়।




