বাধ্যতামূলক তৃতীয়পক্ষ মোটর বীমা পুনরায় চালু প্রসঙ্গে

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) মোটরযান বীমা চালু প্রসঙ্গে সম্প্রতি একটি বিবৃতি প্রদান করেছে। সংবাদটি এই পত্রিকায় গত ২ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে।

গত ২ বছরের অধিক সময় ধরে তৃতীয়পক্ষ মোটর বীমা বন্ধ রয়েছে, যা চিন্তার অতীত।

সরকার বাধ্যতামূলক তৃতীয়পক্ষ মোটর বীমা পুনরায় নতুন করে চালু করতে যাচ্ছে এই খবরটি দীর্ঘ সময় ধরে প্রত্যাশিত ছিল।

বিলম্ব হলেও সরকারি এই সিদ্ধান্ত সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।

আন্তর্জাতিক বীমা অঙ্গনে বাধ্যতামূলক তৃতীয়পক্ষ মোটর বীমা যে পদ্ধতিতে কাজ করে, আজ সে বিষয় নিয়ে খানিকটা আলোচনা করব।

বাধ্যতামূলক তৃতীয়পক্ষ মোটর বীমায় বিশেষকরে তিনটি দিক আবরিত করে থাকে। যেমন: মৃত্যুর ঝুঁকি, শারীরিক অনিষ্টতা বা বডি ইন্জুরি এবং তৃতীয়পক্ষের সম্পত্তির ক্ষতি।

অতীতে তৃতীয়পক্ষের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছিল। যা অপ্রতুল বা অপর্যাপ্ত বলে বিবেচিত।

এই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করা উচিত।

বীমা বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান অর্থনৈতিক পটভূমিকায় এই ক্ষতিপূরণ অন্তত ২ লাখ টাকায় উন্নিত করা প্রয়োজন।

শারীরিক অনিষ্টতা বা বডি ইন্জুরির বেলায় বিভিন্ন দেশে এই ক্ষতিপূরণ আনলিমিটেড করা হয়েছে। অর্থাৎ এটি সম্পূর্ণভাবে চিকিৎসার খরচ, মেডিকেল কন্ডিশন বা শারীরিক ক্ষয়ক্ষতির উপর নির্ভরশীল।

অন্যদিকে তৃতীয়পক্ষের সম্পত্তির ক্ষতির বেলায় ক্ষতিপূরণ প্রকৃত ক্ষতির উপরে নির্ভর করে।

আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উপরের বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক মানদন্ডে বিবেচনা করবে এবং সেই হিসেবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।