আইনী কবজ ছাড়া মটর লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্সের মূল লক্ষ্য ব্যর্থ হতে বাধ্য

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: একথা ভাববার কোন যৌক্তিক কারণ নাই যে, আইনী বাধ্যবাধকতা ছাড়া মটর লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স প্রবর্তনের লক্ষ্য অর্জিত হবে।

মটর লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স প্রবর্তন করার একটি প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে সড়কে মটর দুর্ঘটনায় আহত বা নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

আইনী কবজ বা বর্ম ছাড়া সেটা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশে ইন্স্যুরেন্স পেনিট্রেশনের হার দেখলে এ কথা সহজেই অনুমেয় যে সাধারণ জনগণের মাঝে বীমা সমন্ধে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দুর্ঘটনায় আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশই সাধারণ এবং গরীব সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।

এই বীমা বাধ্যতামূলক করা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত তৃতীয় পক্ষ কিভাবে বিপদের সম্মুখীন হতে পারে তার ব্যাখ্যা একটি উদাহরণের মাধ্যমে তুলে ধরা যেতে পারে।

ধরা যাক, একজন পথচারী রাস্তা পারাপারের সময় একটি বীমাহীন গাড়ীর চাকার নিচে পৃষ্ট হয়ে নিহত বা স্থায়ীভাবে শারীরিক অনিষ্টতার শিকার হলো। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিপূরণের জন্য মটর গাড়ীর মালিক বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নেয়া ছাড়া কোন গত্যন্তর নাই।

সাধারণ গরীব মানুষের পক্ষে আইন আদালতের শরণাপন্ন হওয়া একপ্রকার অসম্ভব ব্যাপার। বাধ্যতামূলক মটর লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স এই ব্যাপারে রক্ষাকবজ হিসেবে কাজ করতে পারে।

আশাকরি বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনতিবিলম্বে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।