মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৫% লভ্যাংশ অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। এর মধ্যে রয়েছে ১৫ শতংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১০ শতাংশ স্টক। বুধবার (১৯ অক্টোবর) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সংখ্যাধিক্য ভোটে এই লভ্যাংশ অনুমোদিত হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বীমা কোম্পানিটি।

কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল)’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, এ এন এম ফজলুল করিম মুন্সী, মো. মঈন উদ্দিন, শারমিন নাসির, দিলরুবা শারমিন, সবিতা ফেরদৌসী ও মোহাম্মদ আহসান ইবনে কবির (নিরপেক্ষ পরিচালক) সহ পরিচালকবৃন্দ এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এন সি রুদ্রসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন।

সভায় কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, মেঘনা লাইফ মেয়াদোত্তীর্ণ ও মৃত্যুদাবি সঠিক সময়ে পরিশোধ করে পলিসিহোন্ডাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারী ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য তিনি কোম্পানির সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীমাকর্মী ও শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বীমাকর্মী ও পলিসিহোল্ডাররাই কোম্পানির মূল চালিকাশক্তি। সেদিক থেকে আমি মনে করি মেঘনা লাইফ ইতোমধ্যেই সেই সার্থকতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

নাসির উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, মেঘনা লাইফ ২০২১ সালে ৩৮৮ কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয় করেছে এবং দাবি পরিশোধ করেছে ৩৭৪ কোটি টাকা। এই পরিসখ্যানই বলে দেয় মেঘনা লাইফ দাবি পরিশোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একইসঙ্গে মেঘনা লাইফ তার ব্যবস্থাপনা ব্যয় গত বছরের চেয়ে হ্রাস করছে যা বার্ষিক প্রতিবেদনেই প্রতীয়মান হয়।

এছাড়াও মেঘনা লাইফ আধুনিক প্রযুক্তির সাথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উন্নত তথ্য প্রযুক্তির সংযোজন ও দক্ষ জনবল সৃষ্টি করেছে এবং নতুন নতুন বীমা পন্য বাজারজাত করণের উপর গুরুত্বারোপ করছে। তিনি উল্লেখ করেন, মেঘনা লাইফ ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত শেয়ারহোল্ডাদের ধারাবাহিকভাবে সন্তোষজনক ডিভিডেন্ড দিয়ে যাচ্ছে।

মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ২৫ বছর পেরিয়ে ২৬ বছরে পদার্পণে সর্বতো সহযোগিতা করার জন্য তিনি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জসহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।