সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হলেই তৈরি হবে দক্ষ জনবল
ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র ধারাবাহিক অনুষ্ঠান ‘উন্নয়ন ও বীমা’র ১৫তম পর্বে আলোচনায় অংশ নেন সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর রাশেদ বিন আমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় রয়েছেন সুশান্ত সিনহা।
ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত উন্নয়ন ও বীমা অনুষ্ঠানের ১৫তম পর্বের আলোচনার বিষয় ‘সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হলেই তৈরি হবে দক্ষ জনবল’। পাঠকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ভিডিও কন্টেন্টটি অনুলিখন করা হয়েছে। ‘উন্নয়ন ও বীমা’র ১৫তম পর্বের মূল ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
সুশান্ত সিনহা: দর্শক, আপনাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছি ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র নিয়মিত আয়োজন উন্নয়ন ও বীমা অনুষ্ঠানে। আপনারা জানেন, বীমা খাতে সমকালীন বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কথা বলি সমস্যাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করি; সমাধানে করণীয় কি সে বিষয়ে আলোচনা করি একজন অতিথির সঙ্গে। আলোচনার মাধ্যমে যাতে করে দর্শকদের মাঝে আমরা বার্তা দিতে চাই তেমনি আবার নীতি নির্ধারনী যে মহল আছে তাদের কাছেও বীমা খাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে করণীয় কি হতে পারে সে ধরনের সহায়তামূলক তথ্য দিয়ে আমরা সহায়তা করার জন্য এই উন্নয়ন ও বীমা অনুষ্ঠানটি করে থাকি। আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই সেটি হচ্ছে বীমা খাতে দক্ষ মানবসম্পদ। আমরা আসলে কতটুকু বীমা খাতে দক্ষ মানবসম্পদ বা জনশক্তি গড়ে তুলতে পেরেছি। কারণ ব্যাংকিং খাতে এখনো যতটা বিশ্ববিদ্যালেয় থেকে পাশ করার পরে ছেলে-মেয়েদের আগ্রহ থাকে চাকরিতে যাওয়ার জন্য বীমা খাতে কিন্তু আমরা সে ধরনের আগ্রহ দেখি না। আবার বীমার কোম্পানিগুলোতে সে আয়োজনটা থাকে না তাদেরকে চাকরি দেওয়ার জন্য- এই বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই। আমাদের সঙ্গে স্টুডিওতে সময় দিয়েছেন সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমান। আপনাকে আবারও স্বাগত জানাচ্ছি আমাদের স্টুডিওতে একটা বিষয় জানার জন্য বীমা খাত; আমাদের বলা হচ্ছে যে, পৃথিবীব্যাপী বীমা হচ্ছে সবার জন্য ম্যান্ডেটরি ইস্যু। উন্নত দেশগুলোর জন্য এটা আরো বেশি প্রযোজ্য। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে হতে যাচ্ছে বা আছে। তারা কিন্তু প্যানিট্রেশনে অনেক এগিয়ে। আমাদের নেই; না থাকার পেছনে কারণ কি? বীমা খাতে দক্ষ জনশক্তি- সেটির বড় ধরনের অভাব আছে। বিশেষ করে লাইফ ইন্স্যুরেন্সগুলোতে এই বিষয়টাতে আপনাদের অবস্থানটা কোথায়?
মীর রাশেদ বিন আমান: ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম। এটা ওয়ান হান্ড্রেড পারসেন্ট মেজর ভাইটাল পয়েন্ট। বীমা খাতে একচুয়ালি প্যানিট্রেশন নিয়ে আমরা সবাই কথা বলি; কাস্টমার সাইট থেকে কথা বলি। পলিসিহোল্ডার হচ্ছে কিন্তু একচুয়ালি পলিসি হোল্ডার হচ্ছে কিভাবে, কর্মীর মাধ্যমে। আমরা যদি ভালো লোক চাই প্রথমে দিতে হবে ভালো একটা পরিবেশ। এই পরিবেশটা বেশিরভাগ লেক-ইন আছে। আরেকটা, এই পরিবেশও তো নাই; ভালো লোকও আমরা পাব না। ভালো লোক পাচ্ছি না কেন? কারণ, পরিবেশ নাই; বিষয়টি কানেক্টেড। কিন্তু এখন ব্যাংকে ঠিকই যাচ্ছে। ব্যাংকের পরিবেশে অনেক ব্যাটার- এটা না। ব্যাংকে একটা একসেপ্টেবল স্যালারি আছে; বসার একটা জায়গা আছে। পরিবেশটা ধরেন প্রাইভেট ব্যাংক এয়ারকন্ডিশান। সবাইকে আমি বলতে পারি আমি ব্যাংকে চাকরি করি। যখন ব্যাংকে চাকরি করি বলি এটা সবাই কিন্তু সুন্দর মতো একসেপ্ট করে নেয়। এখন বীমা খাতে যদি আমরা একই জনবল, দক্ষ জনবল চাই- তাহলে প্রথমে দিতে হবে সুন্দর একটা পরিবেশ। আলহামদুলিল্লাহ সোনালী লাইফ প্রথম দিকে প্রবলেমগুলো সলভ করে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পরিবেশটা এবং ভিন্ন পরিবেশের সাথে আছে ক্যারিয়ার। এখন ক্যারিয়ার প্রথম কথা আপনি যেটা একটু আগেও বললেন ইনকাম। ব্যাংকে ধরেন ২৫ হাজার টাকা স্টাটিং বা ৩০ হাজার ২০ হাজার যেটা হউক। কিন্তু আমি জানি মাস শেষে এতটুকু আমার আসবে। আমি কাজ করি আর না করি যেহেতু আসবে। এটার পরে একটা একসেপ্টেবল ক্যারিয়ার বা অর্গানাইজেশনাল হায়ারারকি আছে সেটা আমি জানি। বীমাতে যেটা প্রথমে অনেকে কমিশনে কাজ করতে রাজি না। ওরা সবাই চায় যে ডেস্ক জব, ফিক্সট ইনকাম। এখন কষ্ট করে আমি একটা ফাউন্ডেশন দাঁড় করাতে পারব। ফিক্সড ইনকামের দিকে যাব; ওই লেভেলের বাড়াবো যে ৩০ হাজার ৫০ হাজারের বেশি হবে কিন্তু ইমিডিয়েটলি তো হবে না। সো ইমিডিয়েটলি কি দেখবে- লো ইনকাম হবে কিন্তু দেখবে পরিবেশ। ইমিডিয়েটলি দেখবে আচ্ছা আমি ঠিক মত কাজ করলে কোথায় কোথায় যাব? বীমা খাতে কেন লোক জন আসে না। কারণ অনেক উদাহরণ আছে যে- আমি যে শুরু করলাম আমি করতে করতে হারিয়ে যাচ্ছি। হারিয়ে যাচ্ছি সিনিয়ারের ল্যাক অব কেয়ার বলেন, সিনিয়ারের আমার প্রতি ভুল হিসাব বলেন বা ভুল ধারণা ছড়ানো বা যেটা জেলাস বা আমাকে ব্লাক মেইল করা বলেন। আমার ইনকাম নেই, সো ইনকাম নিয়ে বা আমার অবস্থান কোম্পানিতে সিনিয়রের কথা কিন্তু উপরে পর্যন্ত যাচ্ছে, আমার কথা যাচ্ছে না। এসব কারণে আমি ভালো করতেছি কিন্তু আমার সিনিয়র আমাকে ঠাস করে আটকিয়ে দিল। তখনই কিন্তু আমি ওনার কাছ থেকে সরে যাচ্ছি। আমি কিন্তু আর আমি আই কুড হ্যাভ বিন এ চ্যাম্পিয়ান, আই কুড হ্যাভ বিন এ সিইও, আই কুড হ্যাভ বিন মাচ মোর। কিন্তু আমি আর আগাচ্ছি না। আমি বাদ দেই। ভালো একটা জায়গায় বা অন্য একটা জায়গায় যেখানে আমি কাজ করলে রিটার্নটা আমি নিজে পাব। আর আমার টেনশান করতে হবে না। আমার গলা কে কাটবে (সরি ফর দ্যা ল্যাঙ্গুয়েজ)। বাট আমার উদ্দেশ্যটা হচ্ছে আমি কাজ করব; রিটার্ন পাব। বাসায় যাব, ফ্যামিলিকে ঠিক রাখতে পারব। নিজে ঠিক থাকতে পারব। এটাইতো মূল উদ্দেশ্য। আর কাজ ঠিকভাবে করলে ক্যারিয়ার আমার অটোমেটিক প্রোগেস হবে -এটা পরিবেশের সাথে ক্যারিয়ারের যেটা। আর সিনিয়রের উপরে যদি আমার ফিউচার নির্ভর করে; আমার যদি ডিপেনডেন্সি ওই পরিমাণ থাকে যে সিনিয়র ভালো বললে তাহলে আমি ভালো। তাহলে কিন্তু ক্যারিয়ার...
সুশান্ত সিনহা: তার মানে পারফরমেন্সের চেয়ে সিনিয়ারের মন্তব্যটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ!
মীর রাশেদ বিন আমান: সিনিয়ারের মন্তব্যকে যদি অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় তাহলে কিন্তু পারফরমেন্স আসতেছে না। তাহলে আসতেছে কি? সিনিয়রকে যত বেশি তুলতে পারি; যতবেশি প্রেস করতে পারি তাহলে আমার ক্যারিয়ার হচ্ছে। তাহলে আমরা প্রফেশনাল পাব না। প্রফেশনাল পাওয়ার জন্যে প্রথম যেটা বললাম পরিবেশ; পরিবেশ ভালো হলে লোক আসবে। তারপর হচ্ছে দক্ষ বানানোর জন্যে ট্রেনিং। বীমা অনেকে বুঝে না। বীমা বুঝানোর জন্য যদি আমরা ওই ট্রেনিং; ওইভাবে যদি ট্রেনিংটা প্রোভাইট করি তাহলে কিন্তু জানবে-বুঝবে।
সুশান্ত সিনহা: একটা তো ট্রেনিং আছে যে, এজেন্ট হওয়ার সময় ৭২ ঘণ্টার মেন্ডেটরি ট্রেনিং। এটাই কি শেষ? এটার পরে নাকি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন প্রোডাক্ট নিতে ট্রেনিং দেয়া হয় বা দরকার কিনা?
মীর রাশেদ বিন আমান: ডেফিনিটলি দরকার; কারণ ট্রেনিংয়ের কোন শেষ নেই। আর ট্রেনিংয়ের কোন বিকল্প নাই। এখন যে প্রথম ৭২ ঘণ্টার ওইটা একটা ব্রিফ একটা জেনারেল আইডিয়া। সো এই ট্রেনিংয়ের পরে কোম্পানি স্পেসিফিক ট্রেনিং; ইন্ডাস্ট্রিজ স্পেসিপিক প্রোডাক্ট সিস্টেম; ডিজিটাল অ্যাপ বলেন, পলিসি হোল্ডারের অ্যাপ বলেন, এজেন্টের অ্যাপ। একমাত্র সোনালী লাইফের এজেন্টেরও অ্যাপ আছে। এক- ধরনের দুইটা অ্যাপ; তারপর ধরেন আমাদের যে নীতি-নিয়মকানুন আছে; আন্ডাররাইটিং ডেভেলপমেন্ট; এডমিন বলেন; এজেন্সি ডিপার্টমেন্টাল ট্রেনিং। কারণ, একটা এজেন্টকে কিন্তু পুরা অলরাউন্ডার দক্ষতা ডেভেলপ করতে হবে। যেসব প্রশ্ন আসবে মাঠে। ফাইন্সিয়াল তথ্যগুলো জানতে হবে। জেনারেল তথ্য, ক্লেইমসে তথ্য। তার মানে এখানে ট্রেনিংটা যত গুরুত্ব দেয়া উচিত ওইটা কিন্তু আমার হিসেবে আরো বেশি দিলে আরো ভালো। তখন আমি যদি ভালো করি তাহলে আপনি দেখবেন আপনার আগ্রহ বাড়বে। আপনি আসবেন, আপনি একটা কোড নিবেন; তারপর আপনার কারণে আরেকজন...। সো অল ডিপন্ডেস- আমি কি রকম করতেছি। এখন আমি যদি প্রথমে হারিয়ে যাই বা কোম্পানিতে সুযোগ ওরকম না থাকে বা আমার পারফরম্যান্স যদি... পারপম্যান্স হ্যাজ টু স্পেসিফিক। পারপম্যান্স, সো... এখন আমি যদি মনে করি যে, আপনাকে আমি যতো বেশি চা খাওয়াব, ততবেশি আগাব। তাহলে আবার এখানে শেষ। সো সোনালী লাইফে আমরা যেটা করেছি... আমি সোনালী নিয়ে বলতে পারি। আমরা পরিবেশ নিয়ে প্রথমে কাজ করেছি অনেক। আমাদের যদি আপনি ইনশাল্লাহ দেখেন আমাদের অফিস ওইখানে ধরেন এফএ’দের টেবিল আছে; ইউনিট ম্যানেজারের টেবিল আছে; ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের টেবিল আছে; একটা বসার জায়গা আছে।
কিন্তু ইনকামের সাথে যেসব আনুসঙ্গিক যা যা আছে। যেহেতু মার্কেটিং ইনসেনটিভ বেজ, আরো পারপম্যান্স বেজ যা যা আছে; ওইটাও পসিবল। আর এটার সাথে আমি যত বেশি দেখব, যত বেশি এক্সপেরিয়েন্স করব; তত বেশি কিন্তু আমার এম্বিশন বাড়বে। আমি শুধু ঢাকা শহর দেখলাম, আমি শুধু চিটাগং দেখলাম, আমি শুধু আমার বাড়ি টাঙ্গাইল বানিয়ারা- এটা দেখলাম; তাহলে কিন্তু আবার আমার পারসপেকটিভ- এটা কিন্তু বাড়তেছে না। দৃষ্টিভঙ্গিটা একই থাকতেছে। সো এর মধ্যে ধরেন সোনালী লাইফেও বা অন্যান্য বীমা কোম্পানিতেও ইনসেনটিভ টুল প্রোভাইট করে, ইন্টারন্যাশনাল টুল। ধরেন, আমি তাতে অস্ট্রোলিয়া দেখলাম, লন্ডন দেখলাম। তো এটা আবার তখন ইনসেনটিভ আকারে কাজ করে। তখন আমি কাজটা আরো বাড়ানোর জন্যে, ট্রেনিংয়ের জন্য আমি এগিয়ে যাব। সবকিছু কেন করতেছি? প্রথম- পরিবেশ। এটা ভালো দেখি, এটা বসার মত দেখি; আমাকে কেউ ডুবানোর জন্য কাজ করছে না বা কেউ সরানোর জন্য কাজ করছে না ।
সুশান্ত সিনহা: সেটাতো আবার নির্ভর করবে আপনার কোম্পানি কতটুকু চায়। কারণ, বস বা সিনিয়র যেই হোক না কেন, তার কথার উপর চলবে না। পারফরমেন্সটা যদি অটোমেটেড হয় যে, আমার কাগজপত্র.... সেটা দেখভাল করে কে?
মীর রাশেদ বিন আমান: থ্যাংকিউ, এটা একদম কারেক্টলি বলেছেন। আলটিমেটলি বিকজ অব দ্যা হায়ারারকি। সিনিয়রের কথার একটা ইমপর্টেন্সতো থাকবে। সোনালী লাইফে যেটা আছে আমি অ্যাজ এ সিইও। আমি ফাইন্যান্সিয়াল এসোসিয়েট থেকে ইউনিট ম্যানেজার- এটা আমি করি না। সিস্টেম কিন্তু প্যারামিটার দেয়া আছে, ক্রাইটেরিয়া দেয়া আছে। ওই ক্রাইটেরিয়াগুলো ফুলফিল হলে তাহলে কিন্তু এফএ টু ইউনিট ম্যানেজার প্রমোশন হচ্ছে। সিস্টেম থেকে নাম আসতেছে- ইউনিট ম্যানেজার টু ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। আমাদের শুধু তিনটা আছে ফাইন্যান্সিয়াল এসোসিয়েট, ইউনিট ম্যানেজার এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। এরপরে যারা আমাদের কোম্পানি....।
সুশান্ত সিনহা: তার মানে আমরা যে ৬টা লেয়ারের কথা শুনি সেটা কি আপনাদের এখানে কম আছে?
মীর রাশেদ বিন আমান: আমাদের এখানে শুধু তিনটা। মেটলাইফের যে রকম আমাদের ওরকম তিনটাই। আমাদের এখানে এর উপরে স্যালারি বেজড বা এইচআর বেজড। সোনালী লাইফে এটা আমি বলব ভেরি ইউনিক বা ভেরি গুড ক্যারিয়ার। যেটা বলতেছি, ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ যারা হচ্ছে বা যারা হতে পারে শুধুমাত্র প্রমোশনের মাধ্যমে এক্সিউটিভ হতে পারে। আমাদের এক্সিউটিভে, আর এটা একমাত্র সোনালী লাইফের আমি কথা বলতেছি। এক্সিকিউটিভের পজিশনে কোন রিক্রুটমেন্ট নাই। যারা শুধু সোনালী কালচারে, সোনালী ডিসিপ্লিনে, সোনালী ট্রেনিংয়ে ডেভেলপ করে বড় হচ্ছে; পারপম্যান্সে ওরাই এগিয়ে যাবে। ওরা কোম্পানির টেকওভার করবে, ওরাই কোম্পানির এক্সিকিউটিভ প্যানালে বসতে পারতেছে- এটা একটা ক্যারিয়ারের জন্য অনেক ভালো। ফর এক্সজামপল, ধরেন মেটলাইফের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের উপরে, কোন কোম্পানির এগেইনস্টে বলতেছি না, এটা বাস্তবতা; ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের উপরে যাওয়া কিন্তু পসিবল হচ্ছে না। সোনালী লাইফে উপরে যেতে হলে একমাত্র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার টু উপরে গেলে প্রমোশনের মাধ্যমে যেতে পারে। সো তারা ক্যারিয়ার ক্লিয়ারকাট প্রমাণ পাচ্ছে। তাহলে আমি কাজ করব না কেন। আবার সিস্টেমে, সবকিছু সিস্টেম অরিয়েন্টেড; আমার পারফরম্যান্স, আমার সিনিয়রের বলতে হবে না। সিস্টেমে কিন্তু অটোমেটিকলি বলে দিচ্ছে।
সুশান্ত সিনহা: আমিও বুজতে পারছি যে, আমার দক্ষতাটা কোথায় বা কোথায় কোথায় ঘাটতি।
মীর রাশেদ বিন আমান: রাইট, একজেক্টলি। আমি আমার এজেন্ট লগইন অ্যাপের মাধ্যমে বুঝতে পারতেছি। আবার আমার সিনিয়র চাইলেও আমাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারতেছে না। এটাই কিন্তু....।
সুশান্ত সিনহা: আবার চাইলেও তুলতে পারবে না।
মীর রাশেদ বিন আমান: তুলতেও পারতেছে না। ইভেন্ট সিইও তুলতে পারবে না। এই রকম লিমিটেশন দেয়া। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের ইআরপি’র মাধ্যমে; ইআরপি’র কারণে প্রতিটা পজিশনের প্যারামিটারস দেয়া আছে। এগেইন্সট ডিজিটালাইজ হলে তথ্যটা আরো ক্লিয়ার, আরো স্পেসিফিক। ইউ ক্যান টেইক দ্যা রাইট টাইম; ইউ ক্যান টেইক দ্যা রাইট ডিসিশন; রাইট টাইম, রাইট পারসন। সো তাহলে হয় কি- পরিবেশ ভালো, কাজ করতে পারতেছি। ক্যারিয়ার দেখতেছি, কাজ করার আগ্রহ বাড়তেছে। আরো যেটা আছে যেটা আছে- ব্যাংকিং বা অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রি থেকে আরও বেটার করা পসিবল। আমরা নতুন নতুন যতো জনবল আনতে পারি ততো আমাদের জন্য ভালো। নতুন সার্কেল অব পলিসিহোল্ডার আমরা পাব। নতুন এরিয়া পলিসিহোল্ডাস পাব। প্যানিটেশন তখন অটোমেটিকেলি বাড়বে। এভরিথিং ইজ কানেক্টেড। সো পরিবেশ ভালো; কাজ শুরু করলাম, কাজ করতেছি; আমাকে দাবায়ে রাখতে পারতেছে না। আরো বেশি কাজ করতেছি। আমি যত কাজ করব তত রিটার্ন পাব। আবার শুধু এইটুকু না, আমি দেশ-বিদেশ ঘুরতে পারব। আবার গাড়ি অর্জন করতে পারব। ব্যাংকে কাজ করলে গাড়ি অর্জন করতে করতে অনেক সময় লেগে যায়। স্যালারি বাড়তে বাড়তে অনেক সময় লেগে যায়। সোনালী লাইফে আমাদের এফএ-ও গাড়ি চালায়। ফাইন্যান্সিয়াল এসোসিয়েটেরও গাড়ি আছে। যেটা ইন্ডাস্ট্রিতে এটা কিন্তু ভেরি রেয়ার কেস। মোর অর লেস- নাই।
সুশান্ত সিনহা: মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা- এটা একটা চুক্তিভিত্তিক পদ। আপনি তো সারাজীবন থাকবেন না। আপনার আগেও কেউ ছিল, আপনার পরেও আসবে। তাহলে কোম্পানির কমিটমেন্টটা, কোম্পানি একটা প্রতিষ্ঠান যেটা ব্যাংক দাঁড়িয়েছে। সে কোম্পানির কমিটমেন্টটা আসলে কতটুকু রাখবে বা রাখছে। সেই বিষয়টা কতখানি আশ্বস্ত হতে পারে কর্মীদের।
মীর রাশেদ বিন আমান: থ্যাংকিউ, থ্যাংকিউ ভেরি মাচ। কোম্পানির কমিটমেন্ট একচুয়ালি পুরা ইন্ডাস্ট্রিকে চেঞ্জ করে ফেলতে পারে। কারণ, কোম্পানির কমিটমেন্ট আর সার্ভিস; ঠিকভাবে সার্ভিস ডেলিভারি, ঠিকভাবে কমিটমেন্ট- যদি কথা আর কাজে মিল থাকে; সব কিছু ওকে থাকে, দক্ষ জনবল বা দক্ষতা জনবলের মধ্যে বা নতুন জনবল আসাটা এট বাড়তে থাকবে। আমি যত বেশি কাজ করি আমার কিন্তু থামতে হচ্ছে না। কোম্পানির কমিটমেন্ট নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে না। আমি আবার যত এক্সপার্ট হই, যত ভালো পারফরমার, মার্কেটিং এক্সপার্ট হই; কোম্পানি কমিটমেন্ট যদি না রাখে আমিও থাকতে পারবো না। নতুন কোন লোকও নতুন করে বীমা ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকবে না। আবার কি দাঁড়াল আমি পলিসিহোল্ডার পাব? পাব না। একই লোক কয়জনকে, কয় ব্যক্তিকে পলিসি করাতে পারে। আমি আলটেমটলি ১ হাজার জনকে করালাম; আমিতো আর কাউকে চিনি না। সো এর জন্য নতুন জনবল আসাটা ভেরি ইমপর্টেন্ট। পরিবেশ, সবকিছু যা বললাম ইমপর্টেন্ট। কিন্তু আবার কোম্পানি যদি কমিটমেন্ট ঠিক রাখে কর্মীর ক্ষেত্রে, পলিসিহোল্ডারের ক্ষেত্রে, সার্ভিস ডেলেভারী ক্ষেত্রে, তাহলে অলরাউন্ডার যিনি আমাদের সাকিবের মত অলরাউন্ডার ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং যদি আমরা প্রত্যেকটা ঠিকমত করি দ্যাট ইজ পলিসিহোল্ডার, এমপ্লয়ি, এনভাইয়েরমেন্ট এন্ড অলসো কমিটমেন্ট এন্ড সার্ভিস স্বচ্ছতাসহ এটা ঠিক রাখি নতুন জনবল আসবেই, নতুন লোক আসবেই। কারণ ওরা চ্যালেঞ্জটা গ্রহণও করতে পারতেছে, নেগেটিভটা পজিটিভও করতে পারতেছে। নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে আগাতে পারতেছে। কারণ, কোম্পানির কমিটমেন্ট নিয়ে টেনশন নাই। যে কোম্পানি কমিটমেন্টে ফল্ট হল- গ্রাহকদের কাছে, কর্মীদের কাছে পুরোটাই ফলস পজিশনে পড়ে গেল। তখন কোন আর কাজ করতে পারবে না। নতুন লোকও আসবে না। কোম্পানির কমিটমেন্ট এন্ড এভরিথিং ইজ কানেক্টেড, ইন্টারগেটেড। সো সবাই যদি সবার দায়িত্বটা ঠিকভাবে ফুলফিল করে প্যানিট্রেশন ওয়ান হান্ডেড পার্সেন্ট আমরা যেতে পারবো। আর জিডিপি কন্ট্রিবিউশনে আমরা অনেক বেশি রোল প্লে করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
সুশান্ত সিনহা: এত বেনিফিট বা লুক্রেটিভ যখন করছেন; বলা হয় যে, সাসটেইন করা সম্ভব না। একটা পর্যায়ে গিয়ে কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়বে। তার মানে কি বিষয়টি এরকম যে, ব্যাক-আপটা কি আপনাদের ওইভাবে ফাইনান্সিয়াল এসেসমেন্ট করা আছে কিনা?
মীর রাশেদ বিন আমান: ফাইনান্সিয়াল এসেসমেন্ট, এনালাইসিস দুটাই করা আছে। আপনাকে আমি বুঝায় বলব- একটা হচ্ছে মাথা ভারি, উপরে বেশি লোক নিচে কোন লোক নাই। তাহলে আমার মাঠ কর্মী কম; লিডার বেশি। কিন্তু নিচে বেশি লোক, লিডার কম তাহলে কিন্তু পসিবল। যেমনি আমি আপনাকে নাম্বার দিয়ে দিব সোনালী লাইফে ফাইনান্সিয়াল এসোসিয়েট আছে আলহামদুলিল্লাহ। এজেন্ট আছে আলহামদুলিল্লাহ ৩৫ হাজার প্লাস। আলহামদুলিল্লাহ এ্যাকটিভেজেজ। ইউনিট ম্যানেজার আছে মাত্র ১৪শ’ জন। ১৪শ’ জন নিয়ন্ত্রণ করে ৩৫ হাজারকে। আবার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আছে ১৪৫ জন, অনলি ১৪৫ জন। এই তার মানে দেখেন হায়রারকিটা বা পিরামিডটা বা স্ট্রাকচারটা কিন্তু ভালো। এক্সিকিউটিভ প্যানেলে এক্সিকিউটিভ আছে ১৬ জন। ১৬:১৪৫:১৪০০:৩৫ হাজার পিরামিডের স্ট্রাকচার।
সুশান্ত সিনহা: পিরামিড, না বুর্জ আল খলিফা যেভবন সেই স্টাইলে...।
মীর রাশেদ বিন আমান: থ্যাংকিউ, এর জন্যে মাঠ কর্মীদের মধ্যে আমাদের কম্পিটিশন ভালো হয়। আবার ওরা নিজেদের পারফরম্যান্স অন্যদের পারফরম্যান্স দেখতে পারে। ওরা ক্যারিয়ারটা নিয়ে নিচ্ছে আপন করে। নিচ্ছে আর দ্রুত আগানোর জন্যে কাজও এভাবে করতেছে এবং রির্টানটা পাচ্ছে। আর যখন প্রমোশন পাচ্ছে তখন আসতে আসতে ওরাও নতুন নতুন এফএ নিয়ে আসতেছে। আমাদের একমাত্র সোনালীতে এফএ হিসেবে এফএ রিক্রট করা আমরা শুরু করেছি ইন্ডাস্ট্রিতে। আমাদের যত নতুন নতুন লোক আসতেছে ইন্ডাস্ট্রিতে ইভেন ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রি ছেড়েও আমাদের এখানে জয়েন করছে। উই হেভ ফ্রম মেডিকেল প্রফেশন, ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড, বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে লোকজন উল্টো আরো কোম্পানিতে জয়েন করতেছে আমাদের এফএ হিসেবে। ইভেন একজন একটা কোম্পানির এমডি কিন্তু আমাদের কোম্পানিতে এফএ হিসেবে জয়েন করেছে। কিন্তু সবকিছু কানেক্টেড- পরিবেশ, ক্যারিয়ার এন্ড অল সো চ্যালেঞ্জ। আলটিমেটলি, ইনকাম সব না। সম্মান, সব সম্মান কিনতে পাওয়া যায় না। সম্মান অর্জন করা যায়। সম্মান রাখতে হবে কোম্পানিকে। সোনালীতে যেহেতু অল সাইডে ওকে পাচ্ছে। আমি যত কাজ করি তত রিটার্ন আমার। যত কাজ করি তত সম্মান আমার। যত কাজ করি টাকা দিয়ে না, সম্মানের কারণে প্লাস সার্ভিসের কারণে। যেটা কোম্পানি প্রোভাইট করতেছে। গ্রাহকরা আমার প্রতি আরো লয়েল হচ্ছে। কর্মীরা আমার প্রতি লয়েল হচ্ছে। আমাদের একজন ধরেন ইউনিট ম্যানেজার টিমে মিনিমাম ধরেন ২৫ /৩০ জন এফএ। আর আপনি তো রিশিউ এভাবে দেখলেও পাবেন। সো আলটিমেটলি দক্ষ জনবল আমরা যদি নতুন লোক না পাই বা অন্যভাবে বলি, নতুন লোক পাওয়ার জন্য যেটা করার উচিত প্রত্যেকটা কোম্পানির আমরা যদি ওইভাবে যদি ফলশ্রুতভাবে করি। হ্যা, কষ্ট আসে।
সুশান্ত সিনহা: একটা রিস্ক আছে, সাময়িক একটা রিস্ক আছে।
মীর রাশেদ বিন আমান: হে রিস্ক ও আছে বড় বড় লিডার আসতেছে। উনাকে কোন হাই পজিশন দিতে পারতেছি না। কিন্তু চাইলেও দিতে পারছি না। যদি আবার এটা কম্প্রোমাইজ করি তাহলে ক্যারিয়ারের প্রতি বিশ্বাস থাকবে না। আবার আমার নিচের থেকে কেউ কাউকে সরাইতে পারেতেছে না। আমার উপরে কেউ কাউকে বসাই দিতে পারতেছে না। আমার ইনকামের জন্য বিভিন্ন জায়গায় নক করতে হচ্ছে না। অটোমেটিকলি প্রতি মাসের ৭ তারিখে আমার ব্যাংক একাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে। সো এই প্রতিটা বিষয় প্লাস আমাদের সোনালী লাইফের যেটা বলতে গিয়েছিলাম- এফএ, ইউনিট ম্যানেজার, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সোনালী লাইফের যা গাড়ি আছে সবই অর্জন করা বাই এফএ। ইন্ডাস্ট্রিতে কোন এফএ’র পাবেন না গাড়িসহ, একমাত্র সোনালীতে আছে। ইউনিট ম্যানেজারের আছে, ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের আছে, এক্সিকিউটিভের আছে। সবই অর্জন করা। পুরো ১২ মাস ব্যবসা করে বেইস বাড়িয়ে সোনালী এন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স শিখে ট্রেনিংটা মেইন যেটা প্রোডাক্ট ট্রেনিং সব কিছু নিয়ে তার পর যখন ওরা আস্তে আস্তে চ্যালেঞ্জটা ফেস করতেছে কেউ পজিটিভ বলে না তো লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে। সো চ্যালেঞ্জটা আরো বেশি নরমাল কাজে থেকে অনেক বেশি। এর জন্য রির্টাণটা ও বেশি তবে রিটার্নটাও মাশাল্লাহ পাচ্ছে। ক্যারিয়ারটার পসিবিলিটি প্রমাণে পাচ্ছে, প্রমাণে দেখতেছে। মন থেকে আগানোর ও আগ্রহটা বাড়তেছে এর জন্য আলটিমেটলি পলিসি হোল্ডারও বেশি পেনিট্রেশনও বেশি। পারফরম্যান্স বেশি, খরচ কম।
সুশান্ত সিনহা: অনেকগুলো বিষয় আলোচনা করেছেন। সবগুলো আমাদের বীমা খাতের জন্য জরুরি। আমাদের বীমা খাতে টেকসই উন্নয়নে বলি। দর্শক আপনারা শুনছিলেন বীমা খাতে আমাদের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হলে তার যে বীমা কর্মী তাদের দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত হওয়ার বিকল্প নেই আমাদের একটা গতানুগতিক একটা ট্রেনিং দেয়া হয় ৭২ ঘণ্টা সেটি যথেষ্ট নয়। কারণ, প্রত্যেকটি ট্রেনিংয়ে নতুন কিছু না কিছু শিক্ষা দেয়, যেটা তাকে পরবর্তী ধাপের কাজ করার জন্য। আমরা কথা বলছিলাম, বীমা খাতে মানবসম্পদ বা দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের বিষয়টি এবং সেটিকে বাড়ানোর বিষয় নিয়ে। আজকে এই পর্যন্ত, শেষ করছি উন্নয়ন ও বীমা অনুষ্ঠানটি। আগামীতে দেখা হবে অন্য কোন বিষয়ে অন্য কোন অতিথির সাথে। ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র সাথে থাকবেন।