ঘূর্ণিঝড় মেকুনুর আঘাত

ওমানে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বীমা দাবি উত্থাপন

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মেকুনুর আঘাতে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে ওমানের বীমাখাত। বাড়ি-ঘর, যানবাহন, মেরিন ও নৌ যন্ত্রপাতিরসহ অন্যান্য সম্পদের ক্ষতির কারণে দেশটিতে এ পর্যন্ত ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বীমা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।

ওমানের ক্যাপিটাল মার্কেট অথরিটি (সিএমএ)'র বীমাখাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল মামারি টাইমস অব ওমানকে জানিয়েছেন, বীমা দাবি উত্থাপন ও বীমাখাতের লোকসানের পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। কারণ, এখনো অনেকে বীমা দাবি উত্থাপন করছেন।

গত ২৫ মে প্রবল বাতাস ও বৃষ্টিপাত নিয়ে ওমানের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মেকুনু। ১৯৬০ সালের পর এটিই ছিল সবচেয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ের আঘাতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। বাড়ি-ঘর ও যানবাহনসহ অন্যান্য সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে বাড়ি-ঘর ও সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ৭৫ মিলিয়ন ওমানি রিয়াল (প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ছাড়িয়ে গেছে বীমা দাবি উত্থাপন। গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৬৫৬টি বীমা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে সম্পদের বীমা দাবি রয়েছে ৩৬১টি, যা ৪৮.৭ মিলিয়ন ওমানি রিয়াল বা ১২৬.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ক্যাপিটাল মার্কেট অথরিটি (সিএমএ)'র তথ্য অনুসারে, ব্যয়বহুল বীমা দাবি উত্থাপনের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং বীমা। এ খাতে ২৪.৬ মিলিয়ন ওমানি রিয়াল তথা ৬৩.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের মূল্যের বীমা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।

এ ছাড়াও ব্যয়বহুল বীমা দাবি উত্থাপনের দিক দিয়েছে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মোটর বীমা। এ খাতে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৬৪৬ ওমানি রিয়াল বা ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৫২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের বীমা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিএমএ।

আহমেদ আল মামারি বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মেকুনুর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়া অঙ্গীকার পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বীমাখাত। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় গনু ও ২০১০ সালের ঘূর্ণিঝড় ফেটের মতো ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিপূরণ দেয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে ওমানের বীমাখাতের।