ফসল বীমা যোজনার যতো তথ্য
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কৃষিপ্রধান দেশ ভারত। কৃষির উপর ভিত্তি গড়ে উঠেছে দেশটির গ্রামীণ অর্থনীতি। কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৬ সালের এপ্রিলে চালু করেন ফসল বীমা যোজনা প্রকল্প। অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত ও ঋণগ্রস্ত কৃষকের মাথা থেকে ক্ষতি বা ঋণের বোঝা কমাতে সাহায্য করছে এই প্রকল্প। একইসঙ্গে তাদের উৎসাহ যোগাচ্ছে কৃষিকাজে।
বীমা কোম্পানিগুলো অত্যন্ত সহজ ও দ্রুত প্রক্রিয়ায় কৃষকদের বীমা দাবি পরিশোধে করছে। ২০১৭ সাল থেকে বীমা যোজনার টাকা দেয়া শুরু হয়। প্রকল্পটি ভারতের সব রাজ্যে চালু রয়েছে। এটি পরিচালনায় সহযোগিতা করছে সকল রাজ্য সরকার। তারা কৃষকদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রকল্পটি সফলের চেষ্টা করছে। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছে।
উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
* কৃষকদের আর্থিক সাহায্য প্রদান।
* তাদের আয় বাড়ানো।
* কৃষিকাজে উৎসাহ দেয়া।
* খাদ্য নিরাপত্তা, শস্যের বৈচিত্র নিশ্চিত করা।
* ফসল উৎপাদনে ঝুঁকি নিরসন করা।
কেন এ বীমা
প্রাকৃতিক আগুন এবং বজ্রপাত, ঝড়, সাইক্লোন, টাইফুন, টর্নেডো, শিলাবৃষ্টি, বন্যা, প্লাবন, ভুমিধস, খরা, পোকামাকড় এবং অসুখ অথবা বাজে আবহাওয়ার কারণে ফসলের ক্ষতি। ফসল তোলার পরে ১৪ দিন পর্যন্ত মাঠে শুকনো শস্য থাকলে তা সাইক্লোন অথবা সাইক্লোনজনিত বৃষ্টিতে ক্ষতি হলে।
যাদের জন্য এই পলিসি
পলিসিটি জমির মালিক ও ইজারাদারসহ সকল কৃষকের জন্য প্রযোজ্য।
আরও কিছু তথ্য:
* খাদ্যশস্য, তেলবীজ ও মাঠজাতীয় সব ফসল যোজনা বীমার আওতায় রয়েছে।
* বীমাকৃত খরিফ ফসলের জন্য প্রিমিয়াম হিসেবে কৃষকদের ২ শতাংশ প্রিমিয়াম এবং রবি ফসলের জন্য ১.৫ শতাংশ প্রিমিয়াম নির্ধারিত ।
* যেসব কৃষক ব্যাংক কিংবা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেবে তাদের জন্য জন্য এই বীমা করা বাধ্যতামূলক।
* ফসল বীমা যোজনায় প্রযুক্তি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও কৃষকরা ক্ষতিকৃত ফসলের দাবি জানাতে পারে।
যেসব কারণে ক্ষতিপূরণ নয়
যুদ্ধের ফলস্বরূপ ক্ষতি, বহিরাক্রমণ, বিদেশি শত্রুর কাজ, অসামরিক আন্দোলনে লুণ্ঠন ইত্যাদির ঝুঁকি এই পলিসির আওতাভুক্ত নয়।
সম্পত্তির যে কোনো ধরনের ক্ষতি, আইনি দায় অথবা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে পারমানবিক জ্বালানি অথবা পারমানবিক বর্জ্যর কারণে শারীরিক আঘাত ও অসুস্থতা এই পলিসি কাভার করে না।