ট্রাফিক আইন না মানলে বাড়বে বীমা প্রিমিয়াম

পাপলু রহমান: ‘ট্রাফিক আইন মেনে চলুন’ রাস্তায় চললেই এই কথাটা চোখে পড়ে। পৃথিবীতে মোটরগাড়ির সংখ্যা বাড়ছে, দুর্ঘটনাও বাড়ছে। আর দুর্ঘটনা রোধে নানা দেশে অনেক বিধি-নিষেধ রয়েছে। যা অমান্য করলে হয় জরিমানা কিংবা মামলা। কিন্তু আপনি কি জানেন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ট্রাফিক আইন অমান্য করলে বীমা প্রিমিয়ামের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে!

দেশটির পরিবহন বিভাগ ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের শাস্তি দেয়ার নানা পরিকল্পনা করছে এবং যারা ট্রাফিক আইন মেনে চলেন, দুর্ঘটনায় জড়ান না তাদেরকে উৎসাহ করছে।

দ্য ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাফিক আইন সচেতনকারীদের উৎসাহিত করতে মোটরগাড়ি বীমা প্রিমিয়াম হার কমাতে ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে (আইআরডিএ) সুপারিশ করার পরিকল্পনা করছে পরিবহন বিভাগ। অন্যদিকে যারা ট্রাফিক আইন মানেন না তাদের প্রিমিয়ামের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

এছাড়া পরিবহন বিভাগ মোটর বীমা পলিসির মেয়াদ কিংবা তা রি-নিউ কিনা সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখবে। এজন্য তারা আইআরডিএ’র কাছে মোটরবীমার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের পরীক্ষা করছে। এতে করে পরিবহন বিভাগের বুঝতে সুবিধা হবে গাড়িক্রেতার বীমা করা আছে কিনা।

পরিবহন বিভাগ বলছে, যদি বীমা করা নেই এমন গাড়ি আটক করা হয়ে থাকে তাহলে, সেই গাড়িটির বীমা কেনার পর তা ফেরত দেয়া হবে।

ভারতে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে পরিবহন বিভাগ যে আইন প্রনয়ণের কথা ভাবছে তা যুক্তরাষ্ট্রে চালু আছে। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাফিক আইন অমান্য করলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মোটরগাড়ি বীমা প্রিমিয়াম বৃদ্ধি পায়।

সরকারি তথ্যমতে, ভারতে সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা খুব বেশি। প্রতি বছর দেশটিতে পাঁচ লাখ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। যার মধ্যে দেড় লাখ মানুষই মৃত্যুবরণ করেন। বেশির ভাগ সময় খারাপ রাস্তা, যানবাহন পরিচালনায় অব্যবস্থাপনা ও বেপরোয়া চালনার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ১৯৮৩ সালের ‘মোটরযান আইন’ অনুযায়ী, বীমা ব্যতীত যানবাহন চালালে ১৫৫ ধারায় জরিমানা ৭৫০ টাকা উল্লেখ রয়েছে।