বীমা কোম্পানির আশায় আলু চাষীরা
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে টানা চারদিনের বৃষ্টিতে আলু চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চাষীদের দ্রুত বীমা দাবি জোরালো হচ্ছে। তবে সরকারি ভাবে ক্ষতিপূরণের কোনও ঘোষণা এখনও হয়নি। প্রশাসন জানিয়েছে, খুব শিগগিরই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রকাশ করা হবে।
জেলা প্রশাসক পি মোহনগাঁধীও বলেন, কৃষি দপ্তরকে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরুপণ করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা হবে।
কৃষি দপ্তরের সহ-অধিকর্তা (তথ্য) দুলাল দাস অধিকারী জানিয়েছেন, এ বার জেলায় ৭০ হাজার জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৩৬ হাজার ২৬ হেক্টর জমির আলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আলুতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫৯৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
কৃষি দপ্তর জানাচ্ছে, জেলায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি থেকে আলু তুলে নিয়েছিলেন চাষীরা। সেই আলু মাঠেই রাখা হয়েছিল। বৃষ্টি ও কাদায় সেগুলো এখন পঁচে যাচ্ছে। সেগুলো বিক্রি কিংবা খাওয়া কোনওটাই করা যাবে না। তবে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণের কোনও ঘোষণা এখনও হয়নি।
এদিকে জেলা প্রশাসক পি মোহনগাঁধীও এরইমধ্যে বীমা সংস্থাকে এ পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন।
কৃষি দপ্তরের আশ্বাস, যে সব চাষী আলুতে বীমা করিয়েছিল, তারা ক্ষতিপূরণ পাবে। জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি অজিত মাইতিও বলেন, আলু চাষীদের বিষয়টি সরকারের নজরে আছে।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা বলেন, বীমা কোম্পানির লোকজন এখনও জেলায় আসেনি। অথচ বীমার টাকা পেতে ক্ষতির প্রমাণ প্রয়োজন। পচে যাওয়া আলু সরিয়ে নিলে সেই প্রমাণ দেখানো কঠিন হবে।