মহাকাশে স্যাটেলাইট হারিয়ে ২৫০ মিলিয়ন ডলার বীমা দাবি

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: মহাকাশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একটি স্যাটেলাইটের জন্য ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বীমা দাবি করেছে চীনের মহাকাশ সংস্থা চায়না স্যাটকম। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বীমা প্রতিষ্ঠান পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি অব চায়না এ স্যাটেলাইট ইন্স্যুরেন্স পলিসির ইস্যুকারী। স্পেসনিউজ’র প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

চীনের সিচুয়ান প্রদেশের জিচাং স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন কেন্দ্র থেকে লং মার্চ ৩বি রকেট ব্যবহার করে গত ১৯ আগস্ট যোগাযোগ উপগ্রহ চায়নাস্যাট-১৮ মহাকাশে পাঠানো হয়। তবে বহনকারী যান থেকে পৃথক হওয়ার পরই স্যাটেলাইটটির সঙ্গে আর যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি ভূপৃষ্ঠের নিয়ন্ত্রণকারীরা।

সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের এক ঘোষণায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চায়না স্যাটকম জানিয়েছে, স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপনের পর রকেট থেকে সফলভাবে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। কিন্তু এরপরই স্যাটেলাইটটির সঙ্গে আর যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি। তদন্তে দেখা গেছে, স্যাটেলাইটটি সম্পূর্ণভাবে পাওয়ার (শক্তি) ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি অব চায়না থেকে স্যাটেলাইট ইন্স্যুরেন্স পলিসিটি গ্রহণ করেছিল দেশটির মহাকাশ সংস্থা চায়না স্যাটকম। আন্তর্জাতিক বীমা বাজারে পলিসিটির পুনর্বীমা করা হয়েছিল।

এর আগে গত জুলাইয়ে একটি ভেগা রকেটের উৎক্ষেপন ব্যর্থতায় রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট ফ্যালকন আই-১ ধ্বংস হয়ে যায়। ওই স্যাটেলাটের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ৪১৫ মার্কিন ডলারের বীমা করা হয়েছিল।

এ দু’টি দুর্ঘটনার সম্মিলিত বীমা দাবি ২০১৯ সালে প্রদত্ত মোট প্রিমিয়ামের চেয়ে বেশি বলে রিপোর্টে  উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনা দু’টি স্যাটেলাইট বীমা বাজারের জন্য একটি ধাক্কা বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বা যোগাযোগ উপগ্রহ এক ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ। যা একটি ট্রান্সপন্ডার (গ্রাহক-পুনঃপ্রেরক) যন্ত্রাংশের মাধ্যমে বেতার টেলিযোগাযোগ সংকেতসমূহের শক্তিবর্ধন করে অনুপ্রচার করে। উপগ্রহটি বিশ্বের দু’টি ভিন্ন অবস্থানে অবস্থিত একটি বেতার তরঙ্গ উৎস-প্রেরক এবং একটি বেতার তরঙ্গ গ্রাহকের মধ্যে যোগাযোগ প্রণালী সৃষ্টি করে।

যোগাযোগ উপগ্রহগুলিকে টেলিভিশন, টেলিফোন, বেতার, ইন্টারনেট এবং ব্যবহারিক সামরিক কাজে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানের পৃথিবীকে ঘিরে রাখা কক্ষপথে সরকারী ও বেসরকারি মালিকানাধীন ২ হাজারেরও বেশি যোগাযোগ উপগ্রহ আছে বলে উইকিপিডিয়ার তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে।