থাইল্যান্ডে সাড়ে ৮শ’ কোটি টাকা শস্য বীমা দাবি পরিশোধ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: চলতি বছরে ৮৪৬ কোটি টাকার শস্য বীমা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে থাইল্যান্ডের নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটিতে এবার শস্য বীমার দাবি ২০০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। একারণে আগামী বছর শস্য বীমার প্রিমিয়াম বৃদ্ধির আরো সম্ভা্না রয়েছে। এমনটাই বলছে থাই জেনারেল ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (টিজিআইএ)।

টিজিআইএ’র নিবাহী পরিচালক খিদেজ অনানসিরিপ্রফা’র মতে শস্য বীমার দাবি এ বছর ৩ বিলিয়ন থাইল্যান্ড বাথ পরিশোধ করা হয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় এই অর্থের মূল্যমান দাঁড়ায় ৮৪৬ কোটি টাকা (১ বাথ = ২.৮২ টাকা) । এ বছর কোম্পানিগুলো ১৫০ শতাংশ লোকসানের মুখোমুখি হয়েছে। যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে ২০১১ সালের বন্যায় শস্য বীমা দাবি ৭০০ শতাংশ পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়েছিলো।

খিদেজ অনানসিরিপ্রফা আরো বলেন পুনর্বীমা কোম্পানির সাথে আলোচনা করে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২০২০ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত শস্য বীমার দাবি সমূহ পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর শস্য বীমায় প্রিমিয়াম বাড়ানো হতে পারে।

যদিও পুনর্বীমাকারিদের সাথে প্রিমিয়াম না বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে টিজিআইএ’র। তবে এজন্য যথেষ্ট তথ্যের প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে থাইল্যান্ডের শস্য বীমা খাতের চার বছরের পরিসংখ্যান রয়েছে, যা পুনর্বীমাকারীদের সঙ্গে দরদাম করার জন্য যথেষ্ট নয়।

শস্য বীমার ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড এশিয়ার পাঁচটি দেশের মধ্যে একটি। বতমানে দেশটির ১ হাজার ৬০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার শস্য বীমার আওতায় আছে। তবে গ্রীষ্মকালে প্রায় ১৪ হাজার ৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই বীমার সম্প্রসারণ করা হয়।

২০১৯ সালে সরকারি প্রকল্পের আওতায় ৪৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার ধানী শস্যের জন্য ২.৪ বিলিয়ন বাথ প্রিমিয়াম দেয়া হয়েছে। (তথ্য সূত্র: ব্যাংকক পোস্ট)