১০ খেলোয়ারের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বীমার ৪ মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: জাতীয় ফুটবল লীগের সাবেক ১০ খেলোয়ারের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বীমার ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ ঘটনা ঘটেছে। দেশটির বিচার বিভাগ বলছে, অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়ারদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুবিধা কর্মসূচির মাধ্যমে এই জালিয়াতি করা হয়েছে।
অভিযোগের তথ্যানুসারে, ২০১৭ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৩.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মিথ্যা ও প্রতারনামূলক স্বাস্থ্য বীমা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বীমা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। অথচ জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত খেলোয়ারেরা তাদের স্বাস্থ্য বীমা এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চিকিৎসা বাবদ পকেট থেকে যে টাকা খরচ করেন তা বীমা কোম্পানি বহন করে না।
ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অফ কেন্টাকির অ্যাটর্নী রবার্ট এম ডানক্যান জুনিয়র বলেন, প্রতারনার পরিকল্পনাকে কার্যকর করার জন্য জাতীয় ফুটবল লীগের মাধ্যমে সাবেক খেলোয়ারদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা পরিকল্প চালু করে অভিযুক্তরা। এর মাধ্যমে তারা তাদের সাবেক খেলোয়ার এবং সহকর্মীর বৈধ চিকিৎসার খরচ যোগান দিতে পেরেছিল।
অভিযুক্তরা মিথ্যা দাবি উত্থাপন করে অতিরিক্ত চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ক্রয়ের টাকা আত্মসাৎ করে। কিন্তু যন্ত্রপাতি কখনোই কেনা হয়নি, আর বাস্তবে সরঞ্জামাদি কেনা হলে অনেক মানুষের উপকার হতো। অভিযোগের এসব নথি কেন্টাকিতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিচার বিভাগ।
অভিযুক্তদের একজন রিভার্ডেল জর্জিয়ার রবার্ট ম্যাককুন (৪০) । টেলিগ্রাম এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার জালিয়াতির জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে নয়টি টেলিগ্রাম এবং নয়টি স্বাস্থ্য বীমা জালিয়াতি। এছাড়াও জন ইউব্যাংক, তামারিক ভানোভার এবং কার্লোস রজার্স এর পক্ষেও টেলিগ্রাম এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন ক্লিনটন পোর্টিস (৩৮), সিয়ানড্রিস ব্রাউন (৩৬), জেমস বাটলার (৩৭), ফ্রেডরিক ব্রেন্ড (৩৫), করেল বাকহাটার (৪১), এটরিক প্রুট (৩৮) । তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য জালিয়াতির এবং টেলিগ্রাম প্রতারনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। (তথ্য সূত্র: এফবিআই)