১০ বিলিয়ন ডলারের মহামারী ঝুঁকি তহবিল গঠনের প্রস্তাব ভারতে

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: মহামারীর ঝুঁকি মোকাবেলায় ভারতীয় বীমা কোম্পানিগুলোর যৌথ উদ্যোগে ১০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠনের প্রস্তাব করেছে দেশটির বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইআরডিএআই’র একটি কার্যনির্বাহী কমিটি। পুলের প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করে এর কাঠামো ও মডেল সুপারিশ করেছে ৯ সদস্যের ওই কমিটি।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর দাখিলকৃত সুপারিশে বলা হয়, ঝুঁকি গ্রহণের পরিমাণ এবং সম্ভাব্য লোকসানের আনুমানিক হিসাবের ওপর নির্ভর করবে এই তহবিল তথা প্যানডেমিক রিস্ক পুলের প্রকৃত আকার। তবে প্রাথমিক স্তরে এই তহবিলের আকার হওয়া উচিত ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে তহবিলের একটি অংশের নিশ্চয়তা থাকতে হবে।

প্রস্তাবিত ‘ইন্ডিয়ান প্যানডেমিক রিস্ক পুল’ সমাজের অনানুষ্ঠানিক ও স্বল্প আয়ের খাতগুলোতে লোকসান এবং অনিষ্পন্ন ঘটনার সমাধান করবে এবং ভবিষ্যতে কোন মহামারী বা মহামারী সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক এই ক্ষেত্রগুলোকে ত্রাণ সরবরাহের মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।

কার্যনিবাহী কমিটি প্রস্তাব করেছে, মহামারী ঝুঁকি পুল বাস্তবায়নের প্রথম পর্যায়ে এমএসএমই খাত এবং অভিবাসী শ্রমিকদের মজুরির ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসার বাধাকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। ৪০ মিলিয়ন কর্মচারী ও শ্রমিককে সর্বোচ্চ তিন মাস সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে আনুমানিক মোট ১০.৫১ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২০ জুলাই এক আদেশে প্যানডেমিক রিস্ক পুল গঠনে ৯ সদস্যের একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করে আইআরডিএআই। যার নেতৃত্বে ছিলেন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সুরেশ মাথুর। বীমা কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা ছিলেন কমিটির সদস্য। কমিটিকে আট সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

গ্রুপের টার্মস অব রেফারেন্সে (টিওআর) অন্তর্ভুক্ত থাকছে; ক) পেনডামিক রিস্ক পুল স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা গবেষণা করা এবং এর জন্য যৌক্তিকতা তুলে ধরা, খ) পুলের জন্য কাঠামো এবং অপারেটিং মডেল সুপারিশ করা এবং গ) বিষয়টির সাথে সম্পর্কিত অন্য যেকোন বিষয় পরীক্ষা করে দেখা। (সূত্র: এআইআর)