সুয়েজ খালে আটকে যাওয়া জাহাজ নিয়ে উদ্বিগ্ন বীমাখাত

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ পথ সুয়েজ খালে বিশাল মালবাহী জাহাজ এভার গিভেন আটকে পড়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বীমাখাতে। গত ২৩ মার্চ জাপানী মালিকানাধীন এই জাহাজ আটকে যাওয়ার পর থেকে সময় যতো গড়িয়েছে ততোই উদ্বেগ বেড়েছে বীমাখাতে।

ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়টি এখনো নিশ্চিত না হলেও বীমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশাল এই জাহাজে ক্ষতির পরিমাণও হবে বিশাল। সময় যতো গড়িয়ে যাবে ক্ষতির পরিমাণও বাড়তে থাকবে। সুয়েজ খালে এভার গিভেন আড়াআড়িভাবে আটকে পড়ায় আজ সোমবার উদ্ধারের আগ পর্যন্ত ৩শ’র বেশি জাহাজ আটকে পড়ে।

পানামায় নিবন্ধনকৃত এভার গিভেন জাহাজটি চীন থেকে নেদারল্যান্ডে পণ্য পরিবহন করছিল। তাইওয়ানের কোম্পানি এভারগ্রিন মেরিন এর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। ৪০০ মিটার লম্বা এবং ৫৯ মিটার চওড়া এই জাহাজের ওজন ২ লাখ ২০ হাজার টন। এটি একসঙ্গে ২০ হাজার কনটেইনার পরিবহন করতে পারে।

বীমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভার গিভেনের মতো বিশাল আকারের জাহাজের জন্য সাধারণ ২শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তারও বেশি বীমা করা হয়। এ ছাড়াও আটকে থাকা ৩শ’র বেশি মালবাহী ও তেলবাহী জাহাজের ক্ষতিও পূরণ করতে হবে বীমাকারীদের। এসব কারণেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বীমাখাতে।

অ্যালিয়াঞ্জ গ্লোবাল করপোরেট এন্ড স্পেশালটি (এজিসিএস)’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি বিশাল আকারের জাহাজের দ্বারা সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবেলার বিষয়ে আলোকপাত করেছে। বছরের পর বছর ধরে বীমাকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে যে, জাহাজের ক্রমবর্ধমান আকারের কারণে ঝুঁকির পরিমাণ আরও বাড়ছে।

মেরিন-ফোকাসড রেডস্কাই ইন্স্যুরেন্স আন্ডাররাইটিং এজেন্সি’র এমডি জিল মারফি বলেন, এসব ভয়ের কারণ এখন উপলব্ধি হয়েছে। সুরক্ষা এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নগুলো সম্ভাব্যভাবে ভারসাম্য বিধান করছে। তিনি আরো বলেন, এ ধরণের বিশাল আকারের মালবাহী জাহাজের সুবিধা নিয়ে এখন অবশ্যই প্রশ্ন উত্থাপন করবে বীমাখাত। (সূত্র: আইএনসিএ)