আদর্শ বীমা গ্রাম স্থাপনের প্রস্তাব ভারতে

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: গ্রামীণ পর্যায়ে বীমার পেনিট্রেশন তথা জিডিপিতে এর অবদান বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশজুড়ে আদর্শ বীমা গ্রাম স্থাপনের প্রস্তাব করেছে ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া।

প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, কৃষি এবং এ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডের ওপর বিশেষ দৃষ্টিসহ গ্রামীণ অঞ্চলে বীমা সংক্রান্ত একটি আলোচনায় এই ধারণাটি উত্থাপন করেছে দেশটির বীমা খাত নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইআরডিএআই।

নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বলছে, আদর্শ বীমা গ্রামের ধারণাটি প্রথম বছরে দেশের বিভিন্ন জেলার ন্যূনতম ৫০০টি গ্রামে প্রয়োগ করা যেতে পারে এবং পরবর্তী দুই বছরে ন্যূনতম এক হাজার গ্রামে বাড়ানো যেতে পারে এই প্রকল্প।

ওই ধারণাপত্রে বলা হয়েছে, তিন থেকে পাঁচ বছর সময়কাল ধরে ধারণাটি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক দিক এবং পরামিতি বিবেচনা করে যত্ন সহকারে গ্রামগুলো বাছাই করা উচিত।

এক্ষেত্রে প্রতিটি নন-লাইফ বীমা ও পুনর্বীমা কোম্পানিকে একটি অফিসসহ ধারণাটি চালুর সাথে সম্পৃক্ত হওয়া প্রয়োজন এবং নির্বাচিত গ্রামগুলোতে সর্বনিম্ন ৩ থেকে ৫ বছরের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে ওই জনগোষ্ঠীর কাছে বীমা সুবিধাগুলো দৃশ্যমান হয়।

আইআরডিএআই বলছে, বীমা কোম্পানিগুলো এ বিষয়ে রাজ্য সরকার এবং মন্ত্রণালয়ের সাথে সংলাপ করতে পারে, যারা কৃষক, গ্রামীণ ও সমাজের দুর্বল অংশগুলোর জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বা পরিকল্পনা পরিচালনা করে।

বীমা কোম্পানিগুলো রাজ্য সরকার এবং মন্ত্রণালয়ের এই জাতীয় উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সাথে বীমাকে একীভূত করতে পারে বলেও ওই ধারণাপত্রে উল্লেখ করেছে ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওই ধারণাপত্রে আরো বলা হয়েছে, মূলত গ্রামীণ নিম্ন-আয়ের পরিবার বা স্বল্প সঞ্চয়ী এবং সীমিত আর্থিক ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে টার্গেট মার্কেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী ১৭ মে’র মধ্যে এই প্রস্তাবের বিষয়ে অংশীদারদের কাছ থেকে মতামত আহবান করেছে ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (আইআরডিএআই) ।