করোনা রোগীদের ১৬ হাজার কোটি রুপির বীমা দাবি পরিশোধ ভারতে

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ভারতের স্বাস্থ্য বীমা খাতে চলতি অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) সর্বোচ্চ বীমা দাবি উত্থাপন হয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত রোগের। বীমা কোম্পানিগুলো এরইমধ্যে করোনা রোগীদের ১৬ হাজার কোটি রুপির বেশি বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। বীমা দাবির এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর দিয়েছে।

আইসিআইসিআই লোম্বার্ড জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের এমডি এন্ড সিইও ভার্গব দাসগুপ্ত বলেছেন, করোনা বীমা দাবি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি এবং উত্থাপনের এই সংখ্যা আরো বাড়ছে। এমনকি আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসলেও মাঝারি এবং গুরুতর রোগির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বেশি দাবি উত্থাপনের প্রেক্ষিতে গ্রুপ স্বাস্থ্য বীমার মূল্য বৃদ্ধি করেছে আইসিআইসিআই লোম্বার্ড।

এইচডিএফসি আরগো জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের এমডি এন্ড সিইও রিতেশ কুমার বলে, পুরো শিল্পে বছরের প্রথম প্রান্তিকেই ১০ লাখ বীমা দাবি ছিল, যা গেলো অর্থ বছরের সব বীমা দাবির সমান। আবার গেলো বছর যে পরিমাণ প্রভিশন রাখা হয়েছিল তারও প্রায় সমান এই বীমা দাবি। যদিও তার কোম্পানির অভিজ্ঞতা অনুসারে বীমা দাবির ২৫ শতাংশ এখনো আসেনি।

পলিসি বাজারের তথ্য অনুসারে, অতিমারির প্রথম ঢেউয়ের সময় মোট বীমা দাবির এক তৃতীয়াংশ উত্থাপন হয়েছে করোনা ভাইরাস রোগের চিকিৎসার জন্য। ডিসেম্বর প্রান্তিকে এসে এর পরিমাণ ৩১ শতাংশে নেমে এসেছিল, যদিও এ সময় বেসরকারি খাতে চিকিৎসার পরিমাণ বেড়েছিল।

দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানার আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা এবং ইলেকটিভ পদ্ধতিতে বৃদ্ধি কিছুটা কমেছিল, যার ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছিল বলে জানিয়েছেন পলিসি বাজারের স্বাস্থ্য বীমা প্রধান অমিত ছাবরা।

চলতি অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে করোনা বীমা দাবি ৫০ শতাংশের বেশি উত্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও হাসপাতালে ভর্তি এবং বাসায় চিকিৎসা খরচ পরিশোধের জন্য এখনো দাবি উত্থাপন হচ্ছে।

অমিত ছাবরা বলেন, প্রথম প্রান্তিকে করোনা বীমা দাবির সংখ্যা বৃদ্ধির আরেকটি কারণ হলো- লকডাউনের ফলে অন্যান্য রোগ কমে যাওয়া।  এখন খুব কম দুর্ঘটনা ঘটছে। বাইরে খাওয়া কমেছে, তাই সংস্পর্শে সংক্রমণ বাড়ে এমন রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও কমেছে এবং ইলেকটিভ সার্জারি যেমন চোখের ছানি এবং হাটুর পুন:স্থাপন স্থগিত রয়েছে।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য বীমার জন্য চাহিদা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে কোভিড-১৯। এর ফলে ২০২০-২১ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়াম আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ৫৭২ কোটি রুপি, যা আগের অর্থ বছরে ছিল ৫১ হাজার ৬৭৪ কোটি রুপি।