ভূমিকম্পে হাইতির বীমা খাতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপ দেশ হাইতিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে আনুমানিক ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে বীমা খাতের। এ ঘটনায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ভিত্তিক ক্যাটাস্ট্রফি রিস্ক মডেলার কারেন ক্লার্ক অ্যান্ড কোম্পানি (কেসিসি) ক্ষতির এই আনুমানিক হিসাব প্রকাশ করেছে।

হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে গত শনিবার (১৪ আগস্ট) সংঘটিত ৭.২ মাত্রার এই ভূমিকম্প দেশটির বেশ কিছু শহর প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৯৪১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ৯ হাজার ৯০০ ছাড়িয়েছে। এ ছাড়াও অনেক মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সিভিল প্রটেকশন এজেন্সি।

কারেন ক্লার্ক অ্যান্ড কোম্পানি বলছে, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে হাইতির ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বীমাকৃত বা বীমাযোগ্য আর্থিক ক্ষতির মধ্যে সার্বিকভাবে প্রায় ১৪.৭ শতাংশ ক্ষতি বীমার আওতায় রয়েছে। দেশটির সুরক্ষা ঘাটতির চিত্র তুলে ধরতে এই তথ্য প্রকাশ করেছে কেসিসি। লন্ডন ভিত্তিক গণমাধ্যম রিইন্স্যুরেন্স নিউজ তাদের প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে বাড়ি, গির্জা, হোটেলসহ অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির উদ্ধার কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন ঝড়ে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। কিছু এলাকায় ৩৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত লি কায়ে এবং রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে টানা বৃষ্টি হচ্ছে।

এদিকে হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি ভূমিকম্পে হতাহতদের স্মরণে দেশটিতে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছেন। করোনাভাইরাস মাহামারী, দলীয় সহিংসতা, ক্রমবর্ধমান দরিদ্রতা এবং গত মাসে দেশটির প্রেসিডেন্টের হত্যার পর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে নতুন করে আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ল হাইতি।

এর আগে ২০১০ সালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে হাইতির দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে দেশটির অবকাঠামো ও অর্থনীতি। শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের ক্ষত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি হাইতি।