স্বাস্থ্য বীমার আওতায় ভারতের ৭০% নাগরিক

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ভারতের প্রায় ৭০ শতাংশ নাগরিক স্বাস্থ্য বীমার আওতায় এসেছে। অর্থাৎ ১৩৯.৮ কোটি জনসংখ্যার দেশে প্রায় ৯৮ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বীমা রয়েছে। বাকীদেরও স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনার জন্য স্বল্প মূল্যের স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্প চালুর পরামর্শ দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থা এনআইটিআই আয়োগ।

সংস্থাটির সাম্প্রতিক এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য খাতে সরকারের স্বল্প খরচের কারণে এ খাতের স্বাস্থ্য সেবার সক্ষমতা ও গুণগতমানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যা দেশটির জনসংখ্যার বড় অংশ অর্থাৎ প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জনগণকে বেসরকারি খাতের ব্যয়বহুল চিকিৎসা গ্রহণের দিকে ঠেলে দেয়।

“হেলথ ইন্স্যুরেন্স ফর ইন্ডিয়া’স মিসিং মিডল” বিষয়ের ওপর গত শুক্রবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে এনআইটিআই আয়োগ। এতে বলা হয়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আয়ুষ্মান ভারত বা প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (এবি-পিএমজেএওয়াই) চালু করা হয়েছে এবং রাজ্য সরকার প্রকল্পগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে।

এর মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর নিম্নাংশের ৫০ শতাংশ বা ৭০ কোটি মানুষের কম্প্রিহেনসিভ হসপিটালাইজেশন কভার প্রদান করা হয়, যদিও প্রায় ২০ শতাংশ বা ২৫ কোটি মানুষ সামাজিক স্বাস্থ্য বীমা এবং বেসরকারি স্বেচ্ছাচালিত স্বাস্থ্য বীমার মাধ্যমে এ সুবিধা গ্রহণ করছে। দ্যা ইকোনমিক টাইমস এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে এনআইটিআই আয়োগ আরো জানিয়েছে, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর বাকী ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্য বীমার আওতার বাইরে রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় ঘাটতি এবং উভয় প্রকল্পের মধ্যে আন্তসংযোগের অভাবে বীমা অনাবৃত নাগরিকদের এ সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে আরো বেশি।  

এর আগে ২০১৭ সালে দেশটির বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ক্রোম ডাটা এনালাইটিকস অ্যান্ড মিডিয়া (সিডিএএম) এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের ৫৬ শতাংশ নাগরিক স্বাস্থ্য বীমার আওতায়। সে সময় ৪৪ শতাংশের কোন স্বাস্থ্য বীমা নেই বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

ভারতের ৬টি বৃহৎ শহর কোলকাতা, বেঙ্গালোর, চেন্নাই, দিল্লী, মুম্বাই ও পুনের ৪ হাজার ১৫৬ নাগরিকের (৫১% নারী) ওপর পরিচালিত জরিপে এ তথ্য উঠে আসে। বীমার আওতায় থাকাদের ২৫ শতাংশ সরকারি বা কর্মরত অফিসের অর্থায়নে এবং ৩১ শতাংশ ব্যক্তিগতভাবে স্বাস্থ্য বীমা কভারেজ গ্রহণ করেন।

সে সময় জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪১ শতাংশ লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বীমা বলে মতামত প্রকাশ করে। তবে ৩৭ শতাংশই যানবাহনের বীমাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মত দেয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে স্বাস্থ্য বীমাকে গুরুত্বপূর্ণ বলেন ৩৬ শতাংশ। আর বাড়ি-ঘরের বীমাকে গুরুত্বপূর্ণ বলেন ৫ শতাংশ এবং ভ্রমণ বীমাকে গুরুত্বপূর্ণ বলেন ১ শতাংশ।