পাকিস্তানের বীমা খাতে ২২% প্রবৃদ্ধি

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ২০২১ সালে পাকিস্তানের বীমা খাতে ২১.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০২০ সালে দেশটির লাইফ ও নন-লাইফ বীমা খাতে ৩৫৫ বিলিয়ন পাকিস্তানী রুপি প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয়। যা ২০২১ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৪৩২ বিলিয়ন রুপি।

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ এ প্রকাশিত ‘বীমা শিল্পের পরিসংখ্যান’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অব পাকিস্তান (এসইসিপি) বলেছে, ২০২১ সালে লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো মোট ২৯২ বিলিয়ন রুপি প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে। যা মোট প্রিমিয়ামের ৬৮ শতাংশ। সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অব পাকিস্তান (এসইসিপি)’র বরাদ দিয়ে প্রো-পাকিস্তানী এ খবর জানিয়েছে।

২০২১ সালে বীমা কোম্পানিগুলো ১৮৯ বিলিয়ন রুপি দাবি পরিশোধ করে, যা আগের বছর ২০২০ সালের চেয়ে ১১.২ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালে ১৭০ বিলিয়ন রুপি দাবি পরিশোধ করে পাকিস্তানের বীমা কোম্পানিগুলো।

১৮৯ বিলিয়ন রুপি দাবির মধ্যে লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো ১৩৬ বিলিয়ন রুপি দাবি পরিশোধ করে আর অবশিষ্ট ৫৩ বিলিয়ন রুপি দাবি পরিশোধ করে নন-লাইফ খাতের বীমা কোম্পানিগুলো।  

২০২১ সালে বীমা পেনিট্রেশনের হার ছিল ০.৯১ শতাংশ যেখানে বীমার ঘনত্ব ছিল ২০৮৪ রুপি।

পাকিন্তানে ২০২১ সালে ৪১টি বীমা কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা করছে। এর মধ্যে ৩০টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির, ১০টি লাইফ বীমা কোম্পানি রয়েছে এবং পাকিস্তানে একটি পুনর্বীমাকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

২০২১ সালে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৯.৫ শতাংশ।

সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অব পাকিস্তান (এসইসিপি)’র কমিশনার মিসেস সাদিয়া খান বলেন, তথ্য স্পষ্টভাবে দেখায় যে, পাকিস্তানের বীমা বাজারে প্রবৃদ্ধির জন্য প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বিশাল আকার এই বীমা খাতটি স্থানীয় এবং বিদেশী উভয় বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগে পরিপূর্ণ রয়েছে। আমাদের মানুষদের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যের এবং উদ্ভাবনী বীমা পণ্যগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা বাড়ছে।