৮৬.২৪ মিলিয়ন ডলার বীমা প্রতারণা সনাক্ত করেছে আলিয়াঞ্জ কমার্শিয়াল
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বিদায়ী বছরে ৭০.৭ মিলিয়ন পাউন্ড বা ৮৬.২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বীমা প্রতারণা সনাক্ত করেছে আলিয়াঞ্জ কমার্শিয়াল। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জার্মান বীমা প্রতিষ্ঠান আলিয়াঞ্জ এসই’র এই বাণিজ্যিক বিভাগ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বীমা প্রতারণার সংখ্যা কমলেও এসব ঘটনার আর্থিক পরিমাণ বেড়েছে ১১.২ শতাংশ। এর আগে ২০২১ সালে বীমা প্রতারণার আর্থিক পরিমাণ ছিল ৬৩.৬ মিলিয়ন পাউন্ড বা ৭৭.৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এতে আরো বলা হয়েছে, ২০২১ সালের চেয়ে ২০২২ সালে প্রোপার্টি এন্ড কজাল্টি তথা সম্পত্তি এবং দুর্ঘটনা বীমায় জালিয়াতির ঘটনা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রবণতা প্রথাগত ধরনের মোটর বীমা জালিয়াতি যেমন ক্র্যাশ-ফর-ক্যাশ স্ক্যাম থেকে ভিন্নতার ইঙ্গিত বহন করে।
যাইহোক, বীমাশিল্প ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জিত মোটর দাবি নিয়মিতভাবে দেখে আসছে। তবে গেলো বছর সম্পত্তি এবং দুর্ঘটনা বীমার ক্ষেত্রে প্রতারণার ঘটনার সংখ্যা হ্রাস পেলেও প্রতিটি ঘটনার মূল্য রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে।
আবেদন তথা বীমার প্রস্তাবপত্রে জালিয়াতির ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে একজন গ্রাহক একটি পলিসি কেনার জন্য মিথ্যা তথ্য প্রদান করে। একইসঙ্গে ঘটনাগুলো এটাই প্রস্তাব করে যে ‘ফ্রন্ট-ইন্ড কন্ট্রোলস’ এই মিথ্যা এবং বানোয়াটগুলো আরও কার্যকরভাবে সনাক্ত করছে৷
অন্যদিকে বীমা দাবির পর্যায়ে জালিয়াতি সম্পর্কে ‘মেশিন লার্নিং’ ক্রমবর্ধমান সহায়ক হয়েছে এসব অসৎ প্রচেষ্টা সনাক্ত করতে।
সামগ্রিকভাবে এসব জালিয়াতির ঘটনা নস্যাৎ করার ক্ষেত্রে সাফল্যের একটি প্রধান কারণ হল আলিয়াঞ্জ এর অভ্যন্তরীণ দল, সরবরাহকারী এবং বীমা শিল্প জুড়ে চমৎকার সহযোগিতা।
আলিয়াঞ্জ কমার্শিয়াল এর হেড অব কাউন্টার ফ্রড জেমস বার্গ মন্তব্য করেছেন, প্রতিটি অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে বীমা কোম্পানিগুলো সাধারণত প্রতারণা বৃদ্ধির ঘটনা দেখতে পায়।
তিনি বলেন, জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটের মধ্যে আমরা চাইনি আমাদের সৎ গ্রাহকরা প্রতারকদের কারণে কোন অতিরিক্ত খরচ বহন করুক। এ কারণেই আমরা তাদের রক্ষা করার জন্য জালিয়াতি সনাক্ত করতে এবং নস্যাৎ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম।