বীমা প্রতারণা বন্ধে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছে সিঙ্গাপুর

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বীমা প্রতারণার বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করেছে সিঙ্গাপুর। এ লক্ষ্যে দেশটির জেনারেল ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (জিআইএ) কৃত্তিম বৃদ্ধিমত্তা ভিত্তিক অ্যান্টি-ফ্রড ইন্স্যুরেন্স সলিউশন- শিফট ক্লেইমস ফ্রড ডিটেকশন (এসসিএফডি) এর ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

ভ্রমণ বীমায় প্রতারণা সনাক্তকরণকে সহযোগিতা করার জন্য জেনারেল ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন যে ফ্রড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফএমএস) চালু করেছে তার সফলতার ওপর ভিত্তি করেই কৃত্তিম বৃদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ানোর এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।  সম্প্রতি এ খবর প্রকাশ করেছে আইবিএম।

উল্লেখ্য, মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে বলা হয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এআই প্রযুক্তি সাধারণত অ্যালগরিদম ও মেশিন লার্নিং-সুবিধা কাজে লাগিয়ে বিশাল তথ্যভান্ডার বিশ্লেষণ করে ফলাফল ও অনুমান জানিয়ে থাকে।

সিঙ্গাপুরের বীমা খাতে কৃত্তিম বৃদ্ধিমত্তা ভিত্তিক শিফট ক্লেইমস ফ্রড ডিটেকশন ২০১৭ সাল থেকে দেশটির জেনারেল ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনকে সহযোগিতা করে আসছে। সন্দেহজনক মোটর ও ভ্রমণ বীমা দাবি সনাক্ত করতে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক একটি বাণিজ্য সংস্থা এই এসসিএফডি ব্যবস্থা চালু করে।

প্রথমে যখন এসসিএফডি ব্যবস্থা চালু করা হয় তখন এটির মূল উদ্দেশ্য ছিল- মোটর বীমা দাবিতে প্রতারণা সনাক্ত করা। তবে সিস্টেমটি মোটর ও ট্রাভেল উভয় বীমা দাবিতেই প্রতারণা সনাক্ত করতে ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছে। এ কারণে প্রযুক্তিটির ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সিঙ্গাপুর।

জিআইএ’র প্রধান নির্বাহী হো কাই ওয়েং জানিয়েছেন, এফএমএস ব্যবহার করে বীমা জালিয়াতি সনাক্তকরণে সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য সাফল্যের ফলে একাধিক বীমা প্রতারকদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই পরিকল্পিত সম্প্রসারণ আমাদের ট্রাভেল মডিউলের সম্ভাব্যতাকে সর্বাধিক করার অনুমতি দেয় এবং ক্রমবর্ধমান বিশ্ব ভ্রমণের একটি উপযুক্ত সময় এনে দিয়েছে।