ক্ষুদ্রবীমার উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ ভিয়েতনামে
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: মাইক্রোইন্স্যুরেন্স বা ক্ষুদ্রবীমার উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ভিয়েতনাম সরকার। বীমা কোম্পানিগুলোর জন্য সম্প্রতি একটি ডিক্রি বা আদেশ জারি করেছে।
এই ডিক্রির মূল উদ্দেশ্যে দেশটিতে ব্যবসা পরিচালনাকারী বীমা কোম্পানিগুলোকে ক্ষুদ্রবীমা পরিকল্প সরবরাহ করতে উৎসাহিত করা এবং নাগরিকদের এই বীমায় অংশগ্রহণের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করা।
অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, নতুন এই আদেশের ফলে বীমা কোম্পানিগুলো তাদের বাণিজ্যিক বীমা পরিকল্পগুলোতে প্রবেশের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ নিম্ন-আয়ের জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্রবীমায় বীমা অংশগ্রহণের জন্য শর্ত তৈরি করতে পারবে।
নতুন এই আদেশের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো- গ্রাহকদের ক্ষুদ্রবীমা প্রদানের জন্য পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সামাজিক-রাজনৈতিক এবং পেশাদার সংস্থাগুলোর পাশাপাশি সমবায়ের জন্য একটি আইনি কাঠামো তৈরি করা। ভিএনইকনোমি.ভিএন এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।
আদেশে ক্ষুদ্রবীমা পরিকল্প তৈরি, ক্ষুদ্রবীমা কোম্পানির লাইসেন্স প্রদান এবং ক্ষুদ্রবীমা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট বিধান রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, মিউচুয়াল কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে একটি শর্ত হলো- শুধুমাত্র মৃত্যু বা সম্পূর্ণ অক্ষমতা, চিকিৎসা সেবা, দুর্ঘটনা, এবং সম্পত্তির ক্ষতিসহ মৌলিক ঝুঁকিগুলোর সুরক্ষার জন্য স্বল্প মেয়াদের (এক বছর পর্যন্ত) জন্য ক্ষুদ্রবীমা পরিকল্পগুলো অফার করতে পারে৷
মাইক্রোইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন ভিয়েতনামী ডলার বা ৪ লাখ ২৬ হাজার মার্কিন ডলার।
ক্ষুদ্রবীমা প্রদানকারী একটি মিউচুয়াল কোম্পানি প্রতিষ্ঠার জন্য মূলধনের উৎসের মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের জমা দেয়া মূলধন।
সরকারী এই আদেশ অনুসারে, ক্ষুদ্রবীমা পরিকল্পের জন্য সর্বোচ্চ প্রিমিয়াম ধার্য করা হয় যা শহরাঞ্চলের দরিদ্রসীমার কাছে বসবাসকারী পরিবারের বার্ষিক মাথাপিছু আয়ের ৫ শতাংশের সমান।
অন্যদিকে ক্ষুদ্রবীমা পরিকল্পের সর্বোচ্চ বীমা অংকের পরিমাণ শহরাঞ্চলের নিকট-দরিদ্র পরিবারের বার্ষিক মাথাপিছু আয়ের পাঁচ গুণের সমান।
ভিয়েতনাম সরকার ২০২১-২০২৫ সময়কালের জন্য দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণ করেছে ২ মিলিয়ন ভিয়েতনামী ডলার বা ৮৫ মার্কিন ডলার মাসিক মাথাপিছু আয় অথবা বার্ষিক মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ২৪ মিলিয়ন ভিয়েতনামী ডলার সমতুল্য। (সূত্র: এআইআর)