২০২৪ সালের প্রথমার্ধ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বীমা খাতের লোকসান ৬০ বিলিয়ন ডলার

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী বন্যা, ভূমিকম্প ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বীমা খাতের লোকসান ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে। এই লোকসান হয়েছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসে। সুইজারল্যান্ড প্রতিষ্ঠান সুইস রি ইনস্টিটিউট এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

সুইস রি ইনস্টিটিউটের হিসাব অনুসারে, ছোট থেকে মাঝারি ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনাগুলো এই সময়ে অনেক বেশি সংঘটিত হয়েছে। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একাই ১২টি মারাত্মক ঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে চলতি বছরের প্রথমার্ধে। এক্ষেত্রে প্রতিটি বজ্রঝড়ে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে।

প্রচণ্ড বজ্রবৃষ্টি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বীমাকৃত ক্ষতির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বজ্রবৃষ্টির কারণে বীমাকৃত সম্পত্তি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং শহুরে অঞ্চলে সম্পত্তির উচ্চ মূল্যের কারণে এটি ঘটছে।

তাই এ ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বহু-বিলিয়ন-ডলারের ক্ষতির ঘটনাগুলো আরও সাধারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন সুইস রি’র হেড অব ক্যাটাসট্রোফ পেরিলস বলজ গ্রোলিমুন্ড।

সুইস রি ইনস্টিটিউটের সিগমা ১/২০২৪ রিপোর্ট অনুসারে, ২০০৮ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুতর কনভেক্টিভ স্টর্ম (এসসিএস) থেকে বীমাকৃত ক্ষতি প্রায় ৮ শতাংশ বার্ষিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই হার প্রকৃত চিত্রের চেয়ে কম বা নামমাত্র বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২৪ সালের প্রথমার্ধে গড় লোকসানের উপরেও অবদান রেখেছিল বন্যা, যা বিশ্বব্যাপী বীমাকৃত ক্ষতির ১৪ শতাংশের জন্য দায়ি। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী বীমাকৃত ক্ষতির ১৪ শতাংশই হয়েছে বন্যার কারণে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি এবং ব্রাজিলের উল্লেখযোগ্য বন্যার ঘটনাগুলো বিশেষভাবে ব্যয়বহুল ছিল।

এপ্রিল মাসে প্রচণ্ড বজ্রবৃষ্টি আরব উপদ্বীপে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি করে এবং এর ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আনুমানিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বীমাকৃত সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত।দ্রুত নগর বৃদ্ধি, ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন, অপর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং শুষ্ক মাটির মতো কারণগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ক্ষতির তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। (সূত্র: আইএ)