স্বাস্থ্য বীমার খরচ কমাতে সংস্কার আনছে আবুধাবি

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বীমা খরচ কমাতে এবং চিকিৎসা ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্যসেবা সংস্কারের পরিকল্পনা করছে আবুধাবি। এরফলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কোন ব্যক্তি ব্যয়বহুল বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সরাসরি চিকিৎসা নিতে পারবে না। অপেক্ষাকৃত ভালো রোগনির্ণয়ের জন্য তাদেরকে চিকিৎসকের সুপারিশ প্রয়োজন হবে।

বর্তমানে কোন ধরণের বিধি-নিষেধ ছাড়াই স্বাস্থ্য বীমা গ্রাহকরা দ্বিতীয়, তৃতীয় অথবা চতুর্থ দফা চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মতামত গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে বীমা কোম্পানি সরাসরি তাদের বিল পরিশোধ করে। দ্যা ন্যাশন এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।

এছাড়া নতুন নিয়ম অনুসারে, ২১ দিনের মধ্যে কোন রোগি দ্বিতীয় দফা অথবা পরবর্তীতে বহির্বিভাগে একই চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবে। এক্ষেত্রে তাদেরকে চিকিৎসকের কোন সুপারিশ প্রয়োজন হবে না, পূর্বানুমতি থাকলেই বীমা সুবিধা পাবেন।

১৮ বছরের নিচে শিশু এবং ৬০ বছর ও তার বেশি বয়সের ব্যক্তির ক্ষেত্রে রোগের সুনির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করতে পারবেন, তবে তা নতুন এই প্রক্রিয়ায় বীমার আওতার বাইরে। হেলথ স্ক্রিনিং ভিজিট, ভ্যাকসিনেশন ভিজিট এবং ইমার্জেন্সি এতে বীমার বাইরে থাকছে। এছাড়া আরো কিছু পরিবর্তন আসছে নতুন এই সংস্কারে।

আল ফাত্তাম উইলিস এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ স্টিফেন ম্যাকলারেন বলেছেন, মানুষ যদি প্রথমে সাধারণ চিকিৎসকদের না দেখিয়ে এক পরামর্শক থেকে আরেক পরামর্শকের কাছে যায় তাহলে সময় নষ্ট হয় এবং তা ব্যয়বহুল। প্রথমে পারিবারিক চিকিৎসককে তাদের দেখানো উচিত।