নিজের মৃত্যুর জাল সনদ দিয়ে বীমা দাবি আদায়, ব্যাংকের সন্দেহে কারাবন্দি অস্ট্রেলিয়ান নারী
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: নিজের মৃত্যুর জাল সনদ দাখিল করে লাইফ বীমা কোম্পানির কাছ থেকে বড় অংকের মৃত্যুদাবির অর্থ আদায় করেছেন অস্ট্রেলিয়ান একজন নারী। তবে ব্যাংক একাউন্ট থেকে এসব অর্থ ট্রান্সফার করতে গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সন্দেহের শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত কারাবন্দি হয়েছেন ওই নারী।
জাল সনদে নিজের মৃত্যুদাবির অর্থ আদায় করা ওই নারীর নাম কারেন মারি সালকিল্ড। ৪৩ বছর বয়সী সালকিল্ড অস্ট্রেলিয়ার পেথের বাসিন্দা এবং একটি শরীরচর্চা কেন্দ্রের মালিক। ঋণে জর্জরিত কারেন মারি সালকিল্ড তার ঋণ থেকে মুক্তি পেতে একটি সিনেমার দৃশ্য থেকে বীমা জালিয়াতির ধারণাটা বাস্তবে রূপায়িত করেছেন বলে তিনি আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন।
এ ঘটনায় পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার জেলা আদালত কারেন মারি সালকিল্ডকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। একইসঙ্গে ইন্স্যুরলাইন বীমা কোম্পানিকে ৭ লাখ ১৮ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার ফেরত দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালে কারেন মারি সালকিল্ড তার সঙ্গীর মৃত্যুর পরে ৫ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের লাইফ বীমা দাবি পেয়েছিলেন।
এবিসি রিপোর্ট অনুসারে, সালকিল্ড প্রতারণার মাধ্যমে এবং জেনেশুনে মিথ্যা নথি ব্যবহার করে সুবিধা পাওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত। সালকিল্ড তার মৃত্যুসনদ, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার নথি, এবং করোনার থেকে একটি কথিত চিঠিসহ মিথ্যা রেকর্ড বীমা কোম্পানি ইন্স্যুরেন্সলাইনকে প্রদান করে।
জমাকৃত এসব কাগজপত্রের তথ্য অনুসারে কারেন মারি সালকিল্ড ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ব্রুমে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন৷ জানুয়ারির শেষের দিকে তার বীমা দাবি উত্থাপন করার পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে বীমা কোম্পানি ইন্স্যুরলাইন ৭ লাখ ১৮ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার প্রদান করেছিল।
বিচারক ভিকি স্টুয়ার্ট, যিনি সাজা প্রদানের সভাপতিত্ব করেছিলেন, মন্তব্য করেছিলেন যে অপরাধটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে সালকিল্ড মার্চ মাসে তার গ্রেপ্তারের আগে কয়েক মাস ধরে প্রতারণার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং সম্পাদন করেছিলেন।
সালকিল্ড তার সাবেক পার্টনারের নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন, নিজেকে সুবিধাভোগী হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন এবং সেই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে বীমা দাবির অর্থ গ্রহণ করেছিলেন। তবে সালকিল্ডের সাবেক পার্টনার এই অপরাধের সাথে জড়িত ছিল না এবং তার ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে অবগত ছিল না। (সূত্র: ডব্লিউএ টুডে, সেভেন নিউজ)