বীমা খাতের উন্নয়ন হলে জিডিপি ৫ শতাংশ বাড়বে
নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা খাতের উন্নয়ন হলে জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান হবে ৪ থেকে ৫ শতাংশ। এজন্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থার পাশাপাশি বীমা কোম্পানি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে বীমা খাতের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. আবদুল্লাহ ফারুক মিলনায়তনে ‘ফান্ডামেন্টালস অব ইন্স্যুরেন্স’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, সাধারণ বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স বিভাগের ডিন প্রফেসর অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ড. মো. আখতারুজ্জামান, অর্থসচিব ইউনুসুর রহমান, সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর একে আজাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, প্রো-ভিসি ড. মুহাম্মদ সামাদ, ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন একচ্যুয়ারি, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন ও আনিস উদ-দৌলা।
বক্তারা বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান ৪ শতাংশ। অথচ আমাদের দেশে জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর কারণ বাংলাদেশে বীমা খাত অত্যান্ত অবহেলিত ছিল এবং এখনো অবহেলিত আছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী বীমার গুরুত্ব বাড়ছে। এ দেশে বীমা খাত নিয়ে সরকার কখনো তেমন কোনো গুরুত্ব দেননি। তবে বর্তমান সরকার বীমার গুরুত্ব উপলব্ধি করে বীমা খাত উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে।
বক্তারা বলেন, যে কোনো খাতের উন্নয়নে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার ভূমিকাই প্রধান। বীমা খাতে বর্তমান সরকার বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করলেও সংস্থাটি এখনো সক্ষম হয়ে ওঠেনি। তাই খাতটি উন্নয়ন করতে হলে প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে।
যুগোপযোগী শিক্ষার সুযোগ না থাকায় বীমা খাত পিছিয়ে পড়ার মূল কারণ উল্লেখ করে বলেন, বীমা খাতের উন্নয়ন করতে হলে বীমা শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। অন্যদিকে বীমা শিক্ষার্থীরা যাতে ভাল বেতনের চাকরি পায় সেদিকেও বীমা কোম্পানিগুলোকে নজর দিতে হবে।
বীমা কোম্পানিগুলোর বেতন খুবই কম। এত কম বেতনে কোনো মেধাবী ছাত্র বীমা পেশায় আসতে আগ্রহী হবে না। তাই, বীমা খাতের উন্নয়ন করতে হলে বীমা পেশাজীবীদের বেতন ভাতা বাড়াতে হবে।
বক্তারা বলেন, অর্থনেতিক উন্নয়নের জন্য বীমা খাতের সম্পসারণ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। সারা বিশ্বেই এটা করা হচ্ছে। শস্য বীমা, কৃষি বীমা, গবাদী পশু বীমা, স্বাস্থ্য বীমার মত প্রকল্পগুলো চালু করা হলে দেশের উন্নয়ন হবে। অর্থনীতিতে বীমা খাতের অবদান বাড়াবে।