৪৩ লাখ টাকা করে পাচ্ছে নিহতদের পরিবার

নেপাল বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮ পরিবার পেল ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেপাল বিমান দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের পরিবার প্রতি প্রায় ৫১ হাজার ২শ' মার্কিন ডলার তথা ৪৩ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে। জরিপ প্রতিবেদন অনুসারে এ ক্ষতিপূরণ দেয়া শুরু করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এর বীমাকারী সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স। গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ৮ পরিবারের হাতে মোট ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়।

রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এ চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআএ)'র চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)'র সভাপতি শেখ কবির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নিহত ৭ জনের পরিবারের সদস্যরা এবং আহত যাত্রী শেখ রাশেদ রুবায়েত নিজে উপস্থিত থেকে চেক গ্রহণ করেন।

আহত যাত্রী শেখ রাশেদ রুবায়েত ক্ষতিপূরণ হিসেবে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৭৩০ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ। প্রতি ডলার ৮৪ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। আর নিহত যাত্রীদের প্রত্যেকের পরিবার পেয়েছেন ৫১ হাজার ২শ' মার্কিন ডলার বা ৪৩ লাখ টাকা। নিহতের উত্তরাধিকার সংখ্যা অনুপাতে এ অর্থ সমানভাবে বণ্টন করে দেয়া হয়েছে।

সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শফিক শামীম ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি'কে বলেন, দুর্ঘটনার সাড়ে ৪ মাসের মধ্যেই আমরা হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়া শুরু করতে পেরেছি। এফএম এসোসিয়েট এর মাধ্যমে বাংলাদেশে দাবি পরিশোধ করা হচ্ছে। তবে নেপাল ও চীনে লিগ্যাল ফার্ম নিযুক্ত করতে না পারায় সেখানে দাবি পরিশোধ শুরু হয়নি।

তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই জরিপ প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। আর উত্তরাধিকার সনদ অনুসারে তা বিতরণ করা হচ্ছে। জরিপে নিহতদের ক্ষতিপূরণ সর্বনিম্ন ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এসেছে। তবে ব্যক্তিভেদে আরো এক/ দেড় হাজার ডলার বেশি। আর চিকিৎসা খরচের ওপর নির্ভর করে আহতদের ক্ষতিপূরণ এর চেয়ে বেশি হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত ১ জন আহতের জরিপ আমাদের হাতে এসেছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এর বিএস ২১১ ফ্লাইট দুর্ঘটনায় পড়ে স্থানীয় সময় বেলা ২:১৮টায়। বিমানটিতে সর্বমোট আরোহী ছিলেন ৭১ জন। দুর্ঘটনায় ২৭ জন বাংলাদেশি, ২৩ জন নেপালি, ১ জন চীনাসহ মোট ৫১ জন নিহত হন। আহতদের মধ্যে ৯ জন বাংলাদেশি, ১০ জন নেপালি ও ১ জন মালদ্বীপের নাগরিক।