পুনর্বীমার প্রিমিয়াম

২২ কোম্পানির কাছে এসবিসি'র পাওনা ৪৩৪ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ২২টি বেসরকারি নন-লাইফ কোম্পানির কাছে পুনর্বীমার প্রিমিয়াম বাবদ ৪৩৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পুনর্বীমা প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশন (এসবিসি) । বীমাকারী কর্তৃক প্রদত্ত ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ।

এ তথ্যের সঠিকতা যাচাই করে ৭ দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাতে গত ২ আগস্ট সাধারণ বীমা করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। একইসঙ্গে বীমা গ্রাহকদের দ্রুত দাবি পরিশোধের স্বার্থে নন-লাইফ বীমাকারীর সাথে সকল দেনা পাওনা নিষ্পত্তিরও অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে।

এর আগে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যবসার দক্ষতার মূল্যয়ন শীর্ষক এক প্রতিবেদনে সাধারণ বীমা করপোরেশন বাকীতে পুনর্বীমা ব্যবসা করার বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইডিআরএ।

আইডিআরএ'র তথ্য অনুসারে, সাধারণ বীমা করপোরেশন পুনর্বীমার প্রিমিয়াম বাবদ পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৫ কোটি ১ লাখ টাকা, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৯ কোটি ১১ লাখ টাকা, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের কাছে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের কাছে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৮৫ কোটি ৬ লাখ টাকা, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা পাবে এসবিসি।

এ ছাড়াও ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের কাছে ১০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের কাছে ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের কাছে ১৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের কাছে ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের কাছে ১৮ লাখ টাকা পাবে এসবিসি।

বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৩৫ লাখ টাকা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের কাছে ১০ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা পাবে সাধারণ বীমা করপোরেশন।