বিআইএ’র ৩৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা

২৮শ' কোটি টাকা বিনিয়োগ বেড়েছে বীমাখাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯ সালে দেশের বেসরকারি লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ বেড়েছে ২ হাজার ৮শ' কোটি টাকার ওপরে। একইসঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিগুলোর সম্পদ ও আয়ের পরিমাণ। বীমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
আজ সোমবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন। লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর পরিচালক ও মূখ্য নির্বাহীরা এই সভায় অংশ নেন।
সাধারণ সভার তথ্য অনুসারে, বেসরকারি খাতের লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো ২০১৯ সালে সম্মিলিতভাবে বিনিয়োগ করেছে ৩২ হাজার ৬১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে যা ছিল ২৯ হাজার ৭৮৮ কোটি ৩০ হাজার টাকা। সে হিসাবে গেলো বছর বিনিয়োগ বেড়েছে ২ হাজার ৮৩০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এই বিনিয়োগের মধ্যে সিংহভাগই রয়েছে লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর। বিআইএ’র তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি লাইফ বীমাখাতে ২০১৯ সালে বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৬৬০ কোটি ২০ লাখ টাকা। যা ২০১৮ সালে ছিল ২৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ হিসেবে লাইফ বীমাখাতে বিনিয়োগ বেড়েছে ২ হাজার ৬৭৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অপরদিকে ২০১৯ সালে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। যা ২০১৮ সালে ছিল ৩ হাজার ৮০৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ হিসাবে ২০১৯ সালে নন-লাইফ বীমাখাতে বিনিয়োগ বেড়েছে ১৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বিআইএ’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো প্রিমিয়াম আয় করেছে ৯ হাজার ৪৬ কোটি টাকা। যা ২০১৮ সালে ছিল ৮ হাজার ৪৮৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর লাইফ বীমাখাতে লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ২০১৯ সালে বেড়ে হয়েছে ৩১ হাজার ৮৩৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা ২০১৮ সালে ছিল ৩০ হাজার ১৪৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এছাড়া লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর মোট সম্পদের পরিমাণ ২০১৯ সাল শেষে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৮৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ২০১৮ সাল শেষে ছিল ৩৬ হাজার ৩৯৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।
অপরদিকে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর ২০১৮ সালে প্রিমিয়াম আয় ছিল ৩ হাজার ৩৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা বেড়ে ২০১৯ সালে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৪১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর ২০১৮ সালে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৯৭৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা বেড়ে ২০১৯ সালে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
বার্ষিক সাধারণ সভায় চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস সহিদ, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টু, বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক, রুপালী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুছ, বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক সৈয়দ বদরুল আলম, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এ কে এম মনিরুল হক, রুপালী ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পি কে রায়, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।