বীমার পেনিট্রেশনে এক ধাপ পেছাল বাংলাদেশ

আবদুর রহমান আবির: বীমার পেনিট্রেশনে এক ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে এসে দেশের বীমা খাতের পেনিট্রেশন দাঁড়িয়েছে ০.৪০ শতাংশ। এর আগে ২০২০ সালে পেনিট্রেশনের এই হার ছিল ০.৪৯ শতাংশ। বিশ্বের বীমা বাজার নিয়ে সুইস-রি’ সর্বশেষ সিগমা রিপোর্টে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

’ওয়ার্ল্ড ইন্স্যুরেন্স: দি রিকভারি গেইনস পেস’ নামে গত ১৪ জুলাই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বের ১৪৭টি দেশের লাইফ ও নন-লাইফ বীমা খাতের প্রিমিয়াম আয়ের চিত্র এই রিপোর্টের জন্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রিমিয়াম আয়ের দিক থেকে বৃহৎ ৮৮টি দেশের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

সিগমা রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্ব বীমা খাতে পেনিট্রেশনের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬। আগের বছরে দেশের এই র‌্যাংকিং ছিল ৮৫। এদিক দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অবস্থান ৩৮; দেশটির পেনিট্রশনের হার ৪.২, যা আগের বছরে ছিল ৩.৭৬ শতাংশ। এক্ষেত্রে সর্বাগ্রে রয়েছে হংকং; যার পেনিট্রেশনের হার ২০.৮ শতাংশ।

জিডিপি তথা মোট দেশজ উৎপাদনে বীমা খাতের অবদান হিসাব করে এই পেনিট্রেশনের হার প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে দেশের লাইফ বীমার পেনিট্রেশন ০.৩ শতাংশ; যা আগের বছরে ছিল ০.৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে নন-লাইফ বীমার পেনিট্রেশন ০.১ শতাংশ; যা আগের বছরে ছিল ০.১৫ শতাংশ।

সুইস-রি’র তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে বাংলাদেশের সর্বমোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ছিল ১ হাজার ৩৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সে হিসাবে গেলো বছর বাংলাদেশের প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪.২ শতাংশ।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি বেসরকারি ৮১টি বীমা কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা করছে। এর মধ্যে লাইফ বীমা কোম্পানির সংখ্যা ৩৫টি, যার মধ্যে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। অন্যদিকে দেশের নন-লাইফ বীমা কেম্পানির সংখ্যা সর্বমোট ৪৬টি, যার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে একটি।