বিদেশে প্রধান কার্যালয়ের ব্যয় নির্ধারণ: মেটলাইফের খরচ কমাতে হবে ৯%
নিজস্ব প্রতিবেদক: লাইফ বীমা কোম্পানির বিদেশে প্রধান কার্যালয়ের ব্যয় নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । এর ফলে মার্কিন বীমা প্রতিষ্ঠান মেটলাইফের বাংলাদেশ শাখার প্রধান কার্যালয়ের ব্যয় ৯ শতাংশ কমাতে হবে। গত ১৯ মে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসারে, প্রথম বর্ষ নিট প্রিমিয়ামের সর্বোচ্চ ১ শতাংশ এবং নবায়নের সর্বোচ্চ ০.৫০ শতাংশ খরচ প্রধান কার্যালয়ে পাঠাতে পারবে মেটলাইফ। এর আগে ১৯৫৮ সালের বীমা বিধিমালা অনুসারে প্রতিষ্ঠানটি প্রথম বর্ষ প্রিমিয়ামের ১০ শতাংশ ও নবায়নের ২ শতাংশ খরচ প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশের বাইরে প্রধান কার্যালয়ের খরচ পাঠানোর ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে বলেও শর্ত দেয়া হয়েছে নতুন এই প্রজ্ঞাপনে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত মেটলাইফের প্রধান কার্যালয়ের খরচ নির্ধারণ করা হতো ১৯৫৮ সালের বিধিমালা অনুসারে।
২০১১ সালে আইডিআরএ গঠন করা হয় এবং এর প্রায় ১০ বছর পর ‘লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণী বিধিমালা ২০২০’ জারি করা হয়। তবে বিধিমালাটিতে বিদেশে অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বীমা আইন, ২০১০ এর ধারা ৬২ মোতাবেক বীমাকারীর মূল ব্যবসাস্থল বাংলাদেশের বাইরে থাকলে সেক্ষেত্রে প্রধান কার্যালয়ের ব্যয়ের যথাযথ অংশ নিম্নোক্তভাবে নির্ধারণ করা হলো:
ব্যয় নিরুপণের ভিত্তি হবে নিট প্রিমিয়াম এবং ব্যয়ের সর্বোচ্চ শতকরা হার হবে- ১ম বর্ষ প্রিমিয়াম ২০০ কোটি টাকা বা এর কম হলে ১.০০ শতাংশ; ১ম বর্ষ প্রিমিয়াম ২০০ কোটি টাকার বেশি কিন্তু ৪০০ কোটি টাকা বা এর কম হলে ০.৭৫ শতাংশ এবং ১ম বর্ষ প্রিমিয়াম ৪০০ কোটি টাকার বেশি হলে ০.৫০ শতাংশ।
এ ছাড়াও নবায়ন প্রিমিয়াম ৫০০ কোটি টাকা বা এর কম হলে ০.৫০ শতাংশ; নবায়ন প্রিমিয়াম ৫০০ কোটি টাকার বেশি কিন্তু ১০০০ কোটি টাকা বা এর কম হলে ০.৪০ শতাংশ; নবায়ন প্রিমিয়াম ১০০০ কোটি টাকার বেশি কিন্তু ১৫০০ কোটি টাকা বা এর কম হলে ০.৩০ শতাংশ; নবায়ন প্রিমিয়াম ১৫০০ কোটি টাকার বেশি কিন্তু ২০০০ কোটি টাকা বা এর কম হলে ০.২৫ শতাংশ এবং নবায়ন প্রিমিয়াম ২০০০ কোটি টাকার বেশি হলে ০.২০ শতাংশ।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, উল্লেখিত ব্যয় প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে এবং অনুমোদনের আবেদনের সাথে ব্যয়ের যৌক্তিকতাসহ পূর্ণাঙ্গ বিবরণী দাখিল করতে হবে।
এ ছাড়াও উল্লেখিত ব্যয় ‘লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণী বিধিমালা, ২০২০’ এ নির্ধারিত ব্যয় সীমা গণনার ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বীমা আইন, ২০১০ এর ধারা ৬২ মোতাবেক জাতীয় স্বার্থে উপরোল্লিখিত হার নির্ধারণপূর্বক এ সার্কুলার জারি করা হলো, যা অবিলম্ধে কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষে অনিষ্পন্ন আবেদনসমূহের ক্ষেত্রে (যদি থাকে) এ সার্কুলার প্রযোজ্য হবে।