ডেল্টা লাইফের নতুন পর্ষদের দায়িত্ব গ্রহণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে কোম্পানিটির ৮ সদস্যের পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ। অনাড়ম্বর পরিবেশে আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় তাদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন কোম্পানিটির বিদায়ী প্রশাসক মো. কুদ্দুস খান।
দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে ডেল্টা লাইফের পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার, ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. জুনায়েদ শফিকসহ একাধিক পরিচালক ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বীমা কোম্পানিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ডেল্টা লাইফের প্রশাসককে অব্যাহতি দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । একইসাথে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় ৮ সদস্যের পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদকে দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছরের ২৪ জুলাই আইডিআরএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় ডেল্টা লাইফে সমঝোতার মধ্য দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠকে আইডিআরএ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও ডেল্টা লাইফের সাসপেন্ডেড পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও নতুন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর গত ২২ আগস্ট ডেল্টা লাইফের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের সমঝোতা চুক্তি অনুমোদন দেন সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমের বেঞ্চ শুনানী শেষে এই অনুমোদন দেন।
এর আগে ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ডেল্টা লাইফের পরিচালনা পর্ষদ সাসপেন্ড করে আইডিআরএ। কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লাকে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়। পরে গত দেড় বছরে ৩ দফায় প্রশাসক পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আইডিআরএ’র সাবেক সদস্য কুদ্দুস খান।
ডেল্টা লাইফ পরিচালনায় ৮ সদস্যের পর্ষদ:
বীমা কোম্পানিটির পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন- হাফিজ আহমেদ মজুমদার (চেয়ারম্যান), প্রফেসর ড. মো. জুনায়েদ শফিক (ভাইস চেয়ারম্যান), সুরাইয়া রহমান (পরিচালক), আদিবা রহমান (পরিচালক), জেয়াদ রহমান (পরিচালক), সাকিব আজিজ চৌধুরী (নিরপেক্ষ পরিচালক), চাকলাদার রেজানুল আলম (পরিচালক) এবং সাকিব আজাদ (পরিচালক) ।
বীমা কোম্পানিটি পরিচালনায় ৯টি শর্ত আরোপ করেছে আইডিআরএ:
এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে- প্রচলিত আইন অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সকল কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। কোম্পানির আর্থিক বিবরণী সম্পর্কিত তথ্যাদি উদঘাটনে নতুন করে অডিট ফার্মের মাধ্যমে কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। ইতোপূর্বে নিরীক্ষিত বিষয়াবলি শুনানি সাপেক্ষে নিষ্পত্তি করতে হবে। পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক দ্রুততম সময়ের মধ্যে এক বছরের ব্যবসায়িক কৌশলপত্র প্রদান করতে হবে এবং তার অগ্রগতি প্রতি এক মাস অন্তর কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে।
বীমা আইন ও অন্যান্য আরোপিত বিধি নিষেধ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করে অতি দ্রুত একজন দক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। পূর্বে যদি কোন অনিয়ম চিহ্নিত হয়ে থাকে তার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেমতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পূর্বে আরোপিত জরিমানা আইন অনুযায়ী বিবেচিত হবে।
এ ছাড়াও পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানির পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভা আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের মধ্যে আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক হিসেবে মন্ত্রণালয়ের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধিকে (যুগ্ম সচিবের নিম্নে নয়) নিয়োজিত করা হবে।