স্বচ্ছতা ও গ্রাহক সেবায় দৃষ্টান্ত জেনিথ ইসলামী লাইফ: ফরিদুন্নাহার লাইলী

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বচ্ছতা ও গ্রাহক সেবায় জেনিথ ইসলামী লাইফ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বীমা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী। আজ শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে বীমা কোম্পানিটির অর্ধ-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান।

ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, মানবসেবা এবং বেকারত্ব নিরসনের মহান লক্ষ্য নিয়ে দূর্গম পথ পাড়ি দিচ্ছে আমাদের এই প্রিয় প্রতিষ্ঠান। কোভিড-১৯ আক্রান্ত পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে টেকসই উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী বীমা কোম্পানি বিনির্মাণ, শতভাগ মানবসেবা নিশ্চিতকরণ এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি। বীমা পলিসির গুণগত মান, সময়োপযোগী বীমা পলিসি ডিজাইন ও গবেষণার পরিধি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জেনিথ ইসলামী লাইফ একটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করেছে।

জেনিথ ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান বলেন, মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার ক্ষেত্র জোরদার করার জন্য একাডেমিক প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেকে যে পেশায় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, আমরা সেই পেশারই গর্বিত কর্নধার। বঙ্গবন্ধু এই পেশায় নিয়োজিত ছিলেন বিধায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন জাতীয় বীমা দিবস। আমরা জেনিথ পরিবার তাই জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি জানাই বিশেষ কৃতজ্ঞতা। আজকে এই সম্মেলনে দাঁড়িয়ে জাতির পিতার এই পেশাকে সর্বোচ্চ সম্মানজনক পেশার মর্যাদায় নিয়ে যেতে আমরা সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করি।

তিনি আরো বলেন, একটি অফিস এবং গুটি কয়েক কর্মকর্তা নিয়ে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে জেনিথ ইসলামী লাইফ। আজ তার কলেবর ও পরিসর অনেক বিস্তৃত। দেশব্যাপী ৫০টি অফিস এবং ৪ হাজারের অধিক কর্মকর্তা নিয়ে জেনিথ ইসলামী লাইফ তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমাদের প্রত্যেক বিভাগে রয়েছে দক্ষ, সৎ ও যোগ্য কর্মী বাহিনী। ইতোমধ্যে আমাদের একক গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজারের অধিক। গ্রুপ বীমা গ্রাহক সংখ্যা ৩২, যার বেনিফিসিয়ারী প্রায় ৪১ হাজার। তাছাড়া হসপিটাল নেটওয়ার্ক ১০০টি ছাড়িয়ে গেছে।

ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, নবায়ন প্রিমিয়াম হলো কোম্পানির প্রাণ। তাই বিগত বছরে বিক্রিত পলিসিসমূহের শতভাগ নবায়ন প্রিমিয়াম অর্জনের লক্ষ্যে আজ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর জন্য আমি উন্নয়ন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নবায়ন প্রিমিয়ামের পাশাপাশি নতুন পলিসি বিক্রয়ের মাধ্যমে প্রত্যেক উন্নয়ন কর্মকর্তার বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার আহবান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, উন্নয়ন কর্মকর্তা এবং গ্রাহক স্বার্থে প্রধান কার্যালয়ে আমরা কল সেন্টার স্থাপন করাসহ ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিশ্চিত করেছি। আমরা অনলাইন দাবি পরিশোধ সিস্টেম চালু করেছি। চলমান করোনা ভাইরাসের মধ্যেও মনোবল ঠিক রেখে স্ব-স্ব কাজে আত্ম নিয়োগ করলে আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব ইনশাআল্লাহ। আর জেনিথ ইসলামী লাইফ পরিবারের সেটাই হোক প্রত্যাশা।