প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের প্রশংসা করলেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রশংসা করলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী। তিনি বলেন, চতুর্থ প্রজন্মের নতুন বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে কিছু কোম্পানির অবস্থা ভালো। আমি মনে করি প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ সেই পথেই আছে। 'খুব ভালো' বলে আমি প্রশংসা সার্টিফিকেট দিতে চাই না। কিন্তু আমি বলব যে, প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফ সঠিক পথেই আছে।
তিনি আরো বলেন, যারা ভিন্নভাবে চিন্তা করবে, ভিন্ন রকম উদ্যোগ নিবে- তারা ভালো করবে। এ জন্য নিজ উদ্যোম থাকতে হবে। গতানুগতিক ব্যবসা করে এখনকার দিনে টিকে থাকা যাবে না। এই চর্চা যেহেতু প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফের মধ্যে আছে তাই আমি বিশ্বাস করি যে, আপনারা এগিয়ে যেতে পারবেন।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী। পূর্বাচল ক্লাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীমা কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কিশোর বিশ্বাস।
বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন, পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সারাফাত, প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান সামির সেকান্দার, বিআইএফ’র প্রেসিডেন্ট ও পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী বিএম ইউসুফ আলী, বিআইএফ’র ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ও জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান প্রমুখ অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, বীমা খাতে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ করে সময়মতো যাতে মানুষের বীমা দাবি পরিশোধ করা হয় তার জন্য আমরা নানা রকম পদক্ষেপ নিচ্ছি। এ জন্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বীমা কোম্পানিগুলোর রিপোর্ট মূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী তাদেরকে অবহিত করা হচ্ছে। যাদের যেখানে নেতিবাচক দিক আছে সেটা তাদেরকে অবহিত করা হচ্ছে; সে বিষয়ে আলাপ করা হচ্ছে- কখনো ম্যানেজমেন্টের সাথে কখনো বোর্ডের সাথে।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্যে হলো আর কোন কোম্পানি যেন নতুন করে সক্ষমতা হারানোর দিকে না যায়। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং এ জন্য আমরা ক্লোজ মনিটরিং করছি। আমরা ডিজিটালাইজেশন, অটোমেশনের উদ্যোগ নিয়েছি। সকল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে একটি ক্লাউডের মাধ্যমে; একটি কোর ইন্স্যুরেন্স সফটওয়্যারের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছি।
মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে একটি সুন্দর, সুবিন্যাস্ত এবং ভালোভাবে পরিচালিত- এমন একটি বীমা খাত গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি। এ জন্য সহযোগিতামূলক ও নিয়ন্ত্রণমলূক দু’ধরনেরই প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যেই আমরা কোন কোন বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। আগামী এক বছরে কিছু কোম্পানির জন্য টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে- হয় তাদের ভালোভাবে থাকতে হবে মার্কেটে না হয় তারা অন্য ব্যবসায় চলে যাবে; আমরা সেই উদ্যোগগুলো নিচ্ছি।