আগামী ২ বছরে ৫০ হাজার লোক নিয়োগ হবে পপুলার লাইফে: বিএম ইউসুফ আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২ বছরে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ৫০ হাজার লোক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন বীমা কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী। বুধবার (৬ মার্চ) কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রায় ৫ হাজার বীমা কর্মীর বর্ণাঢ্য এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বীমা কোম্পানিটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম শওকত আলী।

বিএম ইউসুফ আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধ করতে সরকার বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা চালু করেছে। এই বীমার আওতায় সারাদেশে সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবীমা করতে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কর্মকর্তাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

বীমা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এ বছর আমাদের যে টাগের্ট পূরণ হয়েছে তার চেয়ে ৩ গুণ টার্গেট যেন আগামী বছরে পূরণ করা যায় সেভাবে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।

বিএম ইউসুফ আলী বলেন, দেশের বীমা খাতের উন্নয়নে সরকার জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করেছে। এখন মানুষের মাঝে বীমা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ছে। ঘরে ঘরে মানুষ বীমা করছে। বীমার প্রতি মানুষের ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হচ্ছে।  

তিনি বলেন, দেশে সবচেয়ে মর্যাদাবান পেশা বীমা। বঙ্গবন্ধু যে পেশা বেছে নিয়েছিলেন, আমরা সে পেশায় আছি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা এখানে সম্মেলন করতে পারতাম না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেকে বীমা পরিবারের সদস্য মনে করেন। এটা আমাদের গর্ব।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশের বীমা খাতের জন্য সবচেয়ে বেশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।  এই সরকারের আমলে বীমা আইন ২০১০ হয়েছে। বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ গঠন হয়েছে এই সরকারের আমলে। বীমা খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে নতুন নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী বিএম ইউসুফ আলী বলেন, আমাদের কোম্পানির যারা মালিক রয়েছেন তারা সবাই সম্ভ্রান্ত পরিবারের এবং দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমাদের কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান একজন একুশে পদক প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব। আমাদের অন্যান্য মালিকরাও সমাজের সমাদৃত ব্যক্তিত্ব।

তিনি বলেন, পপুলার লাইফের মালিকদের কেউই ডিভিডেন্ট বা বিশেষ কোন মুনাফার জন্য তারা কোম্পানি গড়েননি। মূলত গ্রাহকসেবার মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতেই তারা পপুলার লাইফ প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমরাও সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা শুধু বীমার ব্যবসাই করি না। সমাজসেবামূলক কাজও করে যাচ্ছি।