কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করছে জেনিথ ইসলামী লাইফ: এস এম ‍নুরুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের জনসাধারণের দোরগোড়ায় বীমা সুবিধা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধসহ সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা দিয়ে এরইমধ্যে কোম্পানিটি গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

এসব কথা বলেছেন জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান। শনিবার (১২ অক্টোবর) কক্সাবাজারে কোম্পানিটির বার্ষিক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক প্রফেসর মাওলানা সাইয়্যিদ কামাল উদ্দিন জাফরী।

এস এম নুরুজ্জামান বলেন, দেশের বীমা খাতে জেনিথ ইসলামী লাইফ সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক একটি অন্যতম লাইফ বীমা কোম্পানি। যার বিনিয়োগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ হাজার এবং বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের দাবি পরিশোধ করার পর বিনিয়োগের এই পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৬০ কোটি টাকা।

তিনি জানান, একক বীমায় কোম্পানির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১৯৭ গ্রাহকের মৃত্যুদাবির মাধ্যমে ২ কোটি ২১ লাখ ৭ হাজার ৫৪১ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। গ্রুপ বীমায় ৫৩ গ্রাহকের মৃত্যুদাবির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা। স্বাস্থ্য বীমায় ২ হাজার ৩০৯ গ্রাহকের দাবির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫৯ হাজার ৫২২ টাকা।

এছাড়াও ২৩৪ গ্রাহকের মেয়াদোত্তর দাবির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৬০ টাকা। ৪ হাজার ৬৭২ গ্রাহককে এসবি’র মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে ১৮ কোটি ৫ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৩ টাকা। সমর্পণমূল্য বাবদ ১৯৪ গ্রাহককে ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩০০ টাকা এবং কোম্পানির ৭৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১৪ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ টাকা।

জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেন, কোম্পানির ৭ হাজার ৬৫৯ গ্রাহককে দাবি বাবদ ২৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ১ হাজার ২৯৬ টাকা পরিশোধ করেছে।

এই মুহূর্তে কোন প্রকার দাবি পেন্ডিং নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেনিথ ইসলামী লাইফ সর্বোচ্চ ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বীমা দাবি পরিশোধ করে থাকে। গ্রাহক সেবার স্বার্থে বর্তমানে ই-মেইল, হোয়াটস এ্যাপ, ইমু, ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে দাবির আবেদনপত্র গ্রহন করে দাবি নিষ্পত্তি করে থাকে জেনিথ ইসলামী লাইফ।

এস এম নুরুজ্জামান বলেন, জেনিথ ইসলামী লাইফের এই অল্প সময়ে ৩৩টি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের সাথে করপোরেট চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্টার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা কাভারেজ দিচ্ছে জেনিথ ইসলামী লাইফ। অনলাইনে তাদের পরিশোধ করা হয়।

জেনিথ ইসলামী লাইফের এই মুখ্য নির্বাহী বলেন, দেশের মধ্যে আমাদের কোম্পানির ওয়েব সাইট সম্পূর্ণ বাংলা এবং ইংরেজি ভাষাতেই রচিত। আমাদের রয়েছে বাংলায় মোবাইল অ্যাপস- যার মাধ্যমে গ্রাহকরা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস তথা ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড, মাস্টারকার্ড, বিকাশ রকেট নগদ ইত্যাদি ব্যবহার করে সরাসরি যেকোন সময় তার পলিসির প্রিমিয়াম জমা দিতে পারে।

তিনি আরো বলেন, সহজে প্রিমিয়াম দেয়ার জন্য রয়েছে জেনিথ ইসলামী লাইফের রয়েছে ২০টি ব্যাংকের সাথে অনলাইন একাউন্ট। এর মধ্যে ঢাকা ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাথে রয়েছে কো-ব্র্যান্ডেড ডিপেজিট স্লিপ, যার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের নবায়ন প্রিমিয়াম ব্যাংকে জমা করে ব্যাংক থেকেই সরাসরি কোম্পানির প্রিমিয়াম রসিদ পেয়ে থাকেন। গ্রাহকের মোবাইলে অটো এসএমএস চলে যায়। তাছাড়া মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাথে রয়েছে কো-ব্র্যান্ডেড ভিসা কার্ড।

এস এম নুরুজ্জামান বলেন, সারাদেশে বিস্তৃত ১২০টির অধিক হাসপাতাল থেকে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ৪০% ডিসকাউন্ট সুবিধা দেয়া হচ্ছে। প্রিমিয়াম কালেকশান এবং উন্নয়ন কর্মকর্তাদের কাজের সুবিধার্থে স্থাপন করা হয়েছে কল সেন্টার। প্রদান করা হচ্ছে ই-রিসিপ্ট। ইআরপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে আমাদের আইটি কার্যক্রম।

তিনি বলেন, আমাদের রয়েছে অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেইজ, যা দ্বারা খুব সহজেই কাস্টমারের কাছে বীমা সুবিধা প্রচার করা যায় এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায়। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, গত বছরের তুলনায় এ বছর ১ম বর্ষ প্রিমিয়াম ১১.২৯% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নবায়ন প্রিমিয়াম ২৫.৪৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট প্রিমিয়াম বৃদ্ধির হার ১৭.২৭%।