প্রবিধানমালা সংশোধনে মতামত আহবান

নন-লাইফ বীমার ব্যয়সীমা কমাতে সরকারের উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নন-লাইফ বীমা খাতে শৃঙ্খলা আনতে এবং গ্রাহক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ব্যয়সীমা নিয়ন্ত্রণে কঠোর উদ্যোগ নিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ বিষয়ে একটি খসড়া প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনটি বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, নন-লাইফ বীমা ব্যবসার পরিচালন ব্যয়, কমিশন ও প্রশাসনিক খরচ নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখতে হবে।

প্রস্তাবিত বিধিমালায় নন-লাইফ বীমাকারীর গ্রস প্রিমিয়াম আয়ের ওপর নির্ভর করে অগ্নি, অন্যান্য ও নৌ বীমার প্রিমিয়ামের হার ধাপে ধাপে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ১৫ কোটি টাকার জন্য অগ্নি ও অন্যান্য বীমায় ২৫% এবং নৌ বীমায় ১৬% হার প্রযোজ্য থাকছে।

পরবর্তী প্রতি ১৫ কোটি টাকার জন্য এই হার ক্রমান্বয়ে কমে ২০–১৪% (অগ্নি ও অন্যান্য বীমা) এবং ১২–৭% (নৌ বীমা) পর্যন্ত পৌঁছাবে। ৩০ কোটি টাকার পর বীমাকারীর জন্য নির্ধারিত হার সর্বোচ্চ ১২% (অগ্নি ও অন্যান্য বীমা) ও ৬% (নৌ বীমা)।

কোনো প্রতিষ্ঠান এর বেশি কমিশন, প্রচার বা প্রশাসনিক ব্যয় করতে পারবে না।

সরকারের প্রস্তাবিত বিধিমালায় যা আছে:

খসড়া প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, পুনর্বীমা কার্যক্রমে দেশীয় রিটেনশনের ওপর জোর দেয়া হবে। প্রিমিয়ামের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দেশেই রাখতে হবে, যাতে দেশীয় আর্থিক প্রবাহ শক্তিশালী হয়। নিরীক্ষা ও বার্ষিক প্রতিবেদন জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ে তা দাখিল না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বীমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পলিসির ধরণভিত্তিক সীমা ও প্রিমিয়ামের ওপর ব্যয় নিরুপণের এই কাঠামো বীমা খাতকে আরও স্বচ্ছ করবে। গ্রাহকরা দাবি নিষ্পত্তিতে অধিক নিশ্চয়তা পাবেন এবং কোম্পানিগুলোকে দক্ষতার সঙ্গে ব্যয় ব্যবস্থাপনা করতে হবে।