জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েও মুসা সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক: অভিজ্ঞতার সনদ জালিয়াতি করার জন্য আবু মুসা সিদ্দিকীকে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে দায়ী করা হয়। একইসাথে তাকে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেয়া হলে গ্রাহক স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে। প্রশ্নের মুখে পড়বে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ সুপারিশ করে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে আবু মুসা সিদ্দিকীর আবেদন ও নথি-পত্রের সঠিকতা যাচাইয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি।
তবে তদন্ত কমিটির এ সুপারিশের ভিত্তিতে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। এমনকি ভারপ্রাপ্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে আবু মুসা সিদ্দিকীর দায়িত্ব পালন করার বিষয়েও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বীমাখাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আবারও আবু মুসা সিদ্দিকী আবেদন করেছেন তার আবেদন পুনরায় বিবেচনা করা জন্য। এই আবেদনের বিষয়ে আইডিআরএ বলছে, যেহেতু তার অপরাধের জন্য একবার শাস্তি হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি মূখ্য নির্বাহী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। সেক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা চাইলে তার আবেদন পুনর্বিবেচনা করতে পারে। একই অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তিকে বারবার শাস্তি দেয়া সমিচীন নয়।
তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আবু মুসা সিদ্দিকীকে কৌশলে মূখ্য নির্বাহী পদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়েছে আইডিআরএ। যা বীমাখাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম আরো বাড়াবে। একইসাথে তা সরকারের দুর্নীতি বিরোধী কর্মকাণ্ডকে বাধার সৃষ্টি করবে।
আবু মুসা সিদ্দিকীর অভিজ্ঞতার সনদ জাল করা সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণ দিয়ে সাজানো হয়েছে এ প্রতিবেদন।
জাল সনদ দেয়ায় মুসা সিদ্দিকীর নিয়োগে চার্টার্ড লাইফের আবেদন কর্তৃপক্ষে নাকোচ
তথ্য অনুসারে, অভিজ্ঞতার জাল সনদ দেয়ার অভিযোগে মুসা সিদ্দিকীকে মূখ্য নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অনুমোদন চেয়ে চার্টার্ড লাইফের করা আবেদন নাকোচ করে দেয়া হয় ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল। একইসাথে এ সংক্রান্ত চিঠি সকল লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিকে পাঠায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
চ্যাটার্ড লাইফের চেয়ারম্যানকে লেখা আইডিআরএ’র ওই চিঠিতে বলা হয়, এমডি হিসেবে আবু মুসা সিদ্দিকীর নিয়োগ অনুমোদনের জন্য পাঠানো আবেদনের কাগজপত্রের মধ্যে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কাজের অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত সনদটি জাল। বিষয়টি তিনি (আবু মুসা সিদ্দিকী) স্বীকার করেছেন।
এ জন্য আবু মুসা সিদ্দিকীকে চ্যাটার্ড লাইফে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ অনুমাদন দেয়া হলো না। চিঠিতে আরও বলা হয়, আবু মুসা সিদ্দিকী মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে এ পর্যন্ত যে বেতন ভাতাদি (নগদ) গ্রহণ করেছেন তা তার নিকট থেকে আদায় করে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।
মুসা সিদ্দিকীর অভিজ্ঞতার সনদ জাল ঘোষণা প্রাইম ইসলামী লাইফের
প্রাইম ইসলামী লাইফ থেকে নেয়া মুসা সিদ্দিকীর অভিজ্ঞতার সনদটি জাল বলে উল্লেখ করে প্রাইম ইসলামী লাইফ। এ বিষয়ে ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিল আইডিআরএ’কে লেখা এক চিঠিতে প্রাইম ইসলাম লাইফ জানায়, আবু মুসা সিদ্দিকী প্রাইম ইসলামী লাইফে ডিএমডি এবং সেকেন্ড ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন না। কোম্পানিটি তাকে ২০১১ সালের ১৩ এপ্রিল কনসালটেন্ড (বিজনেস প্রমোশন) হিসেবে ৩ বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করে।
ওই চিঠিতে প্রাইম ইসলামী লাইফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান আরো উল্লেখ করেন, আবু মুসা সিদ্দিকীর দাখিলকৃত ছাড়পত্র তার স্বাক্ষরে প্রদান করা হয় নাই। প্রাইম ইসলামী লাইফ থেকে তার স্বাক্ষরে মুসা সিদ্দিকীকে প্রদানকৃত ছাড়পত্রের ফটোকপিও তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করেন।
সনদ জালিয়াতি ও মিথ্যা তথ্য দেয়ার বিষটি স্বীকার করে মুসা সিদ্দিকীর মুচলেকা
এদিকে ২১ এপ্রিল, ২০১৪ তারিখে চাকরির ছাড়পত্র ও অভিজ্ঞতার সনদের বিষয়ে আবু মুসা সিদ্দিকীর সাথে আইডিআরএ সদস্য সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে আবু মুসা সিদ্দিকীর দাখিলকৃত অভিজ্ঞতার সনদটি/ ছাড়পত্রটি এবং এ সংক্রান্ত কোম্পানির বক্তব্য তার নিকট উপস্থাপন করা হলে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন এবং উক্ত কর্ম অভিজ্ঞতার সনদটি তিনি নিজে ভুলবশত তৈরি করেছেন মর্মে স্বীকার করেন।
তাছাড়া তিনি আরো স্বীকার করেন যে, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ডিএমডি হিসেবে কর্মরত ছিলেন না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে স্বাক্ষরসহ লিখিত একটি মুচলেকা প্রদান করেন আবু মুসা সিদ্দিকী। তবে এ ঘটনার পর আবু মুসা সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।
এনআরবি গ্লোবাল লাইফের আবেদনেও কর্তৃপক্ষের ‘না’
আবু মুসা সিদ্দিকীকে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করতে ২০১৮ সালের ১২ জুন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে আবেদন জানান এনআরবি গ্লোবাল লাইফের চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার।
আবেদন পত্রে সাথে আবু মুসা সিদ্দিকী কর্তৃক দাখিলকৃত নথিপত্র অনুসারে চার্টার্ড লাইফে কর্ম অভিজ্ঞতা ও যোগদান সম্পর্কিত দলিলসমূহের স্বাক্ষরের গড়মিল পাওয়া যায়। অপর দিকে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত নিম্নপদে ৩ বছরের কর্ম অভিজ্ঞতার সনদ জাল করার প্রমাণ থাকায় এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় আইডিআরএ।
এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আইডিআরএ’ ১১১তম সভায়। কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক কাজী মনোয়ার হোসেন এবং নির্বাহী পরিচালক খলিল আহমদ এর সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি আবু মুসা সিদ্দিকীর সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য পর্যালোচনা করে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর সুপারিশ করে।
এতে বলা হয়, কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদটি বীমা কোম্পানির একটি সর্বোচ্চ পদ। এ ধরণের সর্বোচ্চ একটি পদে সততা ও নিষ্ঠা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মো. আবু মুসা সিদ্দিকীর এই কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ। সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, কর্ম অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট জাল করা এবং এ বিষয়ে তার স্বীকারোক্তির পর ইতোপূর্বে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগ অনুমোদন না দেয়া এবং বেতন ভাতাদি ফেরত দেয়ার পত্র দেয়া এবং এ পত্রটি সকল বীমাকারীর নিকট প্রেরণ করার এই উদ্দেশ্য যে কোন কোম্পানি যেন তাকে নিয়োগ প্রদান না করে।
এমতাবস্থায় মো. আবু মুসা সিদ্দিকীর পূর্ব রেকর্ড ভালো না থাকায় এ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, তার নিকট বীমা গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে না। কর্তৃপক্ষ এ ধরণের ব্যক্তিকে সিইও হিসেবে নিয়োগ প্রদান করলে কর্তৃপক্ষ প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।
এনআরবি গ্লোবাল লাইফের আবেদনেও মিথ্যা তথ্য
নিয়ম অনুসারে, কোনো ব্যক্তির মূখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগের অনুমোদন পেতে আইডিআরএ’র চেক লিস্ট অনুসারে ১৫ ধরণের তথ্য দাখিল করতে হয়। চেক লিস্টের ১০ নস্বর তথ্যটি হলো মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ বিধিমালার প্রবিধি ৫ এ প্রদত্ত হলফনামা।
মোহাম্মদ আবু মুসা সিদ্দিকী ওই হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, তিনি ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) পদে কর্মরত ছিলেন।
অথচ মুসা সিদ্দিকীর বিভিন্ন কোম্পানিতে নিয়োগপত্র, কোম্পানিগুলোর দেয়া প্রত্যয়নপত্র ও অন্যান্য নথি পর্যালোচনা করে হলফনামায় গড়মিলের তথ্য পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণসহ ‘নিয়োগ আবেদনে এবার মিথ্যা তথ্য: সেই আবু মুসা সিদ্দিকীকে মূখ্য নির্বাহী করতে চায় এনআরবি গ্লোবাল!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে ইন্স্যুরেন্স নিউজবিডি। ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর এ সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
নিয়োগের বিষয়টি ফের পুনর্বিবেচনার আবেদন আবু মুসা সিদ্দিকীর
বার বার মূখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগের আবেদন কর্তৃপক্ষ থেকে নাকোচ করার পর থেমে যাননি মুসা সিদ্দিকী। তিনি আবারো তার আবেদনটি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছেন। গত ২৪ জুন, ২০২০ তারিখে তিনি এই আবেদন জানান।
আবেদনটিতে মুসা সিদ্দিকী বলেন, বীমা আইনে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালায় মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত নিম্নপদে সেকেন্ডম্যান হিসেবে তিন বছর অভিজ্ঞতা থাকার কথা রয়েছে। কিন্তু এর নিম্নপদ সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক কোন ধারণায় সুনির্দিষ্ট পদবীর ব্যাখ্যা না থাকায় আমার গত ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখের নিয়োগ অনুমোদনের আবেদনপত্রে কনসালটেন্ট শব্দের পরিবর্তে ডিএমডি পদ মর্যাদা সমান ধারণাবশত উল্লেখ করে আবেদন করা হয়েছিল।
এতে আমার ধারণাগত ভুল ছিল মাত্র। তারপরও উক্ত সময়ের আইডিআরএ’র সদস্য (লাইফ) আমার নিকট থেকে গত ২১ এপ্রিল, ২০১৪ তারিখে আমার বিরুদ্ধে মামলা করার ভয়-ভীতি প্রদর্শনপূর্বক ভুল করেছি মর্মে একটি কাগজে স্বাক্ষর প্রদান করতে বাধ্য করেন। যাতে বিরুপ পারিপার্শ্বিকতার কারণে আমি তার স্ব-প্রণীত কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হই। তখন আমার বক্তব্য দেয়ার কিংবা আত্মপক্ষ বা যুক্তি প্রমাণ দাখিল করার কোন সুযোগ ছিল না। আমি কখনো কোন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলাম না। তাছাড়া জাল-জালিয়াতি বা অসৎ উদ্দেশ্যে প্রনোদীত কোন কর্মকাণ্ড করি না।
তবে মূখ্য নির্বাহী নিয়োগের আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য করা গত জুনের আবেদনের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে মো. আবু মুসা সিদ্দিকী ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’কে বলেন, এনআরবি গ্লোবাল লাইফ আমাকে দু’বছরের চুক্তিতে নিয়োগ করেছিল। গত জুনে সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখন আমি কোম্পানির মূখ্য নির্বাহীর দায়িত্বে নেই। তবে পরামর্শক হিসেবে এখনো প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আছি।
বর্তমানে কোম্পানির সিএফও বা অন্য কাউকে চলতি দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ওয়েবসাইট থেকে এখনো আমার ছবি, নাম সরাতে পারেনি। খুব শিগগিরই একটি বৈঠক হবে সেখানে নতুন সিইও’র নাম ঘোষণা আসবে এবং আমার তথ্য সরানো হবে।
এ বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য ড. এম মোশাররফ হোসেন বলেন, এনআরবি গ্লোবাল লাইফের মূখ্য নির্বাহী হিসেবে আবু মুসা সিদ্দিকীর নিয়োগের বিষয়ে কর্তৃপক্ষে একটি তদন্ত হয়েছে। তবে তদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিষয়টি আরো পিছিয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষে এ বিষয়ে একটি বৈঠক হবে, সেখানে সবকিছু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আবু মুসা সিদ্দিকীর জাল-জালিয়াতির বিষয়ে তিনি বলেন, এটি ৫/৬ বছর আগের ঘটনা। তখন তার শাস্তিও হয়েছে। তার নিয়োগ আবেদন নাকোচ করা হয়েছে এবং ঘটনাটি অন্যান্য বীমা কোম্পানিগুলোকেও অবহিত করা হয়েছে। তাছাড়াও এটা জালিয়াতি নয়, কনসালটেন্ট পদকে ডিএমডি সমমানের মনে করে তিনি অভিজ্ঞতার সনদে ডিএমডি সেকেন্ড ম্যান উল্লেখ করেছিলেন। যার শাস্তি তিনি পেয়েছেন।
একটি অপরাধের জন্য যখন একবার তিনি শাস্তি পেয়েছেন, তখন একই বিষয়ে তাকে আবার শাস্তির দেয়ার সমিচীন নয়। তাছাড়া সেই সময় তাকে সারাজীবনের জন্য বীমাখাত থেকে বহিষ্কার করার মতোও কিছু উল্লেখ করা হয়নি। আর বর্তমানে তিনি বিধান অনুসারে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। তাই কর্তৃপক্ষ চাইলে তার আবেদনের বিষটি আলাদাভাবে বিবেচনায় নিতে পারেন বলে আমি মনে করি।